তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সরকারি ত্রাণসামগ্রী আত্মসাতে বেশ কিছু মামলা হয়েছে। এ জাতীয় অপরাধে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধীদের সামাজিক বা পেশাগত বা অন্য কোনো পরিচয় কমিশনের নিকট ন্যূনতম গুরুত্ব বহন করবে না।’
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীন খাদ্যবান্ধব কার্যক্রমে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে পাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও ইউপি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের দেয়া বিশেষ বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট মঙ্গলবার দ্বিতীয় বারের মতো এক বিশেষ প্রতিবেদনের মাধ্যমে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাপ্ত অভিযোগের ধরন, মামলা তদন্তের অগ্রগতি ও আসামিদের গ্রেপ্তারসহ সার্বিক অবস্থা অবহিত করে।
সার্বিক বিষয়ে দুদকের এসব কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুদক কর্মকর্তারা ঝুঁকি নিয়ে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, যা প্রশংসার দাবি রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ত্রাণ কার্যক্রমের শুরুতেই আত্মসাতের পরিণতি সম্পর্কে কমিশন থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। গণমাধ্যমও কমিশনের বক্তব্য ব্যপকভাবে প্রচার করে। তারপরও কিছু দুর্নীতি-অনিয়ম-স্বজনপ্রীতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা বলেছিলাম, এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে কমিশন।’
‘অন্যান্য মামলার মতোই ত্রাণ আত্মসাতের প্রতিটি মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে একটি বিশেষ কমিটি বা টাস্কফোর্স গঠন করে এসব মামলার তদন্ত ও প্রসিকিউশন কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।