শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও করোনাভাইরাসজনিত প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সকলে একযোগে কাজ করছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি।’
এদিকে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে করোনাভাইরাসের কারণে শহর ও গ্রামে বিপুল সংখ্যক মানুষের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সকল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য সহায়তা হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব অর্থায়নে চাল, নগদ অর্থ, শিশু খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের জনপ্রতিনিধি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তৃণমূল পর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায় যে, কোথাও কোথাও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।
এসব অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িত জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তকরণ, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।