অনিয়ম
ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
নানা অনিয়মের অভিযোগে বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ব্যাংকিং খাত সংস্কারের উদ্যোগের মধ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, আমানতকারীদের অর্থ ও জনস্বার্থ রক্ষার স্বার্থে ব্যাংকটির ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়েছে ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে অবৈধ তারল্য সহায়তা দেবে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক: গভর্নর আহসান মনসুর
আদেশে আরও বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ নীতিনির্ধারণী দুর্বলতার কারণে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ব্যাহত করে ব্যাংক কোম্পানি ও আমানতকারীদের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত।
ইতোমধ্যে তিনজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়ে সাত সদস্যের নতুন একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এই তিন পরিচালক হলেন- ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডার আবদুল আউয়াল মিন্টু, মোয়াজ্জেম হোসেন ও জাকারিয়া তাহের।
স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক জুলকার নাইন, সীমান্ত ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোখলেসুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মো. আব্দুস সাত্তার সরকার।
আরও পড়ুন: বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ব্যবসার আড়ালে টাকা লুটকারীদের শাস্তি দিন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ব্যবসায়ী নেতারা
৩ মাস আগে
স্বাস্থ্যখাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেছেন, এখন থেকে বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম চালাতে হলে সরকারি নিয়ম মেনে চলতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, 'আমরা লক্ষ্য করছি যে, কিছু অসাধু ব্যক্তি সরকারি বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়িক স্বার্থে সর্বত্র হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করছে।’
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক বিশেষ বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী ব্রিটিশ সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সামন্ত বলেন, ১ হাজার ২০০ অনিবন্ধিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দক্ষ চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান নেই। অথচ তারা কীভাবে চলছে এবং রোগীরা কীভাবে সেবা পাচ্ছেন তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
তিনি জানান, তারা ইতোমধ্যে দেশের এক হাজার অনিবন্ধিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বাকিগুলো বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।
বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ দফা গাইডলাইন নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নির্দেশনা উপেক্ষা করলে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এখানে নির্দেশিকাগুলো হলো-
১. প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্সের কপি প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকের সামনে দৃশ্যমান স্থানে স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
২. সকল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকতে হবে এবং তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
৩. যেসব প্রতিষ্ঠান ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল নামে আছে কিন্তু তাদের কেবল ডায়াগনস্টিক বা হাসপাতালের লাইসেন্স আছে তারা লাইসেন্স ছাড়া নামে উল্লেখিত সেবা কোনোভাবেই প্রদান করতে পারবে না।
৪. ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স গ্রহণ করা হয়েছে সে ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা ব্যতীত অন্য কোনো পরীক্ষা করা যাবে না এবং ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্যাথলজি বা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে।
৫. বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের ধরন ও শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী সব শর্ত বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সব চিকিৎসককে অবশ্যই পেশাদার ডিগ্রির সনদের কপি, বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি সংরক্ষণ করতে হবে।
৭. হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অপারেশন বা অস্ত্রোপচার বা পদ্ধতির জন্য নিবন্ধিত চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।
৮. লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যতীত কোন অবস্থাতেই চেম্বার বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এনেসথেসিয়া প্রদান করা যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ অ্যানেসথেটিস্ট ছাড়া কোনো অপারেশন বা সার্জারি বা ইন্টারভেনশনাল অপারেশন করা যাবে না।
৯. সকল বেসরকারি নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল বা ক্লিনিককে অবশ্যই লেবার রুম প্রটোকল মেনে চলতে হবে।
১০. নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল বা ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটার অবশ্যই অপারেশন থিয়েটার শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার অপারেশন দেশে বিনামূল্যে হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৮ মাস আগে
অনিয়ম কঠোরভাবে দমন না করলে দেশ শূন্য হয়ে যাবে: মুজিবুল হক চুন্নু
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু সংসদে বলেছেন, আর্থিক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোরভাবে মোকাবিলা না করলে দেশ শূন্য হয়ে যাবে।
এ ধরনের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান বিরোধীদলীয় এই সংসদ সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে চুন্নু এ কথা বলেন।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে চুন্নু বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের পরিমাণ ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সরকার যদি তাদের কঠোরভাবে দমন না করে তাহলে দেশ শূন্য হয়ে যাবে।
চুন্নু বলেন, এরই মধ্যে ব্যাংকগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, 'নিশ্চয়ই ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে এটা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'এগুলো দেখভালের দায়িত্ব কার? আমরা কোথায় যাব? অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা যদি এসব দেখভাল না করেন।’
চুন্নু বলেন, এ ধরনের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীরব থেকেছে।
আরও পড়ুন: নতুন সংসদের দায়িত্ব নিখুঁতভাবে পালন করা নিয়ে শঙ্কা জিএম কাদেরের
তিনি বলেন,‘ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে, যা তাদের প্রতিবেদনে (বাংলাদেশ ব্যাংক) উল্লেখ করা হয়েছে। এতদিন কী করলেন তারা? বাংলাদেশ ব্যাংক কেন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? তারা কি কোনো জিনিসের দাম জানে না?’
বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর সমালোচনা করে চুন্নু বলেন, 'তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) জানে না আন্ডার ইনভয়েস নাকি ওভার ইনভয়েসিং হচ্ছে?'
নগরীর একটি হাসপাতালে খতনা করার সময় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর কথাও তুলে ধরেন জাপার এই সংসদ সদস্য।
এ সব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি কঠোর না হয়, তাহলে আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আশা করি, সরকার তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: জাপার জাতীয় কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করলেন রওশন এরশাদ
৮ মাস আগে
দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
সরকারি ক্রয়সহ কোনো খাতে যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সরকারি ক্রয়সহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আমি কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করব না।’
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এ বার্তা দেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব ব্যয়, সরকারি ক্রয় ও স্বচ্ছতার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। আমি এখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করবো না।’
তিনি বলেন, দুর্নীতি কোনো দেশের জন্যই ভালো নয়।
আরও পড়ুন: পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির অভিনন্দন
তিনি বলেন, 'আমাদের যে সম্পদ আছে তা আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করব। আমরা আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে এগিয়ে যাব।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ সীমিত, কিন্তু জনসংখ্যা বিশাল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঠিক মানুষ যেন বার্ধক্য ও সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পায় সেদিকেও নজর দিতে হবে।
পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
মুদ্রাস্ফীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি হলেও পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, 'তাহলেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ প্রবৃদ্ধির সুফল পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০০৯ সাল থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাকি সবই ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে আমাদের তা আরও কমাতে হবে।’
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়লে কৃষকরা খুশি হয়। ‘কিন্তু ভোক্তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাদের ওপর চাপ রয়েছে। এটি ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, কীভাবে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় সে সম্পর্কে আমাদের খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি জনগণের অর্থের অপচয় রোধ, এমনকি যেকোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা মূল্য নির্ধারণকারীদের কঠোর নজরদারিতে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন
এ প্রসঙ্গে তিনি আসন্ন রমজানের কথা উল্লেখ করে বলেন, সীমিত সংখ্যক গোষ্ঠী খাদ্যপণ্য আমদানি করে।
তিনি বলেন, ‘তারাও সবসময় এখানে একটা ম্যাচ খেলতে চায়। সেক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব প্রস্তুতি নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে যেসব পণ্যের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেগুলো সহনীয় মূল্যে রাখতে হবে। সেগুলো নিয়মিত বাজারে যাতে পাওয়া যায়, তাই সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়ানের অভিনন্দন
‘এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি নির্বাচনি অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে এবং নতুন বাজার খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
১০ মাস আগে
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রকের মানের প্রতি দায়বদ্ধতার উপর জোর দিয়ে জানিয়েছেন, বেসরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. আলমগীর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই মানসম্মত শিক্ষার উপর অবিচল দৃষ্টি নিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত হলেন ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান
তিনি বলেন, ‘যারা শিক্ষাকে মূল্য দেয় না তারা বিকল্প পথ খুঁজতে পারে। যখন একটি বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে, কেউ কেউ বুঝতে পারে না যে এটি অলাভজনক। তাদের বিভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে, সম্ভবত ব্যবসা সম্পর্কিত। এ ধরনের ক্ষেত্রে আমরা কঠোরতা বজায় রাখি। ফলস্বরূপ, আমরা প্রায়ই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই। তবে আগের তুলনায় পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, যে কোনো শিক্ষাগত অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষায় মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষক তৈরির কোনো গুণগত ব্যবস্থা নেই। অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টরেট ডিগ্রিও দেয় না।
ব্রেইন ড্রেন ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আলমগীর বলেন, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আর ফিরে আসে না। এতে পাবলিক ও প্রাইভেট উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট দেখা দেয়।’
তিনি এই প্রবণতার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষকদের অপর্যাপ্ত বেতন কাঠামোকে দায়ী করেছেন। যা প্রতিবেশী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শিক্ষকদের বেতন কাঠামো অপ্রতুল। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পারিশ্রমিক খুবই কম। এসব বিষয় নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মানসম্মত শিক্ষা দিতে চাই, তাহলে আমাদের সম্পদের প্রয়োজন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক সম্পদ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী। মানসম্মত শিক্ষা পেতে হলে মানসম্পন্ন শিক্ষকের বিকল্প নেই।’
ব্রেইন ড্রেন ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আলমগীর বলেন, বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরছে না, যার ফলে সরকারি ও বেসরকারি উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সম্পদ হিসাবে চিহ্নিত করে সম্পদের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার উৎকর্ষ অর্জনের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষক অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মানসম্মত শিক্ষা দিতে চাই, তাহলে আমাদের সম্পদের প্রয়োজন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রাথমিক সম্পদ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী। মানসম্মত শিক্ষা পেতে হলে মানসম্পন্ন শিক্ষকের বিকল্প নেই।
মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগে ইউজিসির প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক আলমগীর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে অসুবিধার কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দাবি করতে পারে, অপর্যাপ্ত বিজ্ঞাপন বা বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে তারা যোগ্য শিক্ষকদের আকৃষ্ট করছে না। তারা উচ্চতর বেতন দিতে তাদের অক্ষমতা প্রকাশ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রোগ্রাম বন্ধের অনুরোধ করতে পারে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান দেশে মানসম্মত শিক্ষার মানদণ্ডের অভাবের বিষয়েও আলোকপাত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পূরণের জন্য কোনও নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
তিনি বলেন, ‘আমাদের মানের মানদণ্ডের অভাব রয়েছে। এমন কোনও নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভাল কাজ করে তবে ইতিবাচক ফলাফল আসবে; অন্যথায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশে এ ধরনের মানদণ্ড নেই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০২৪ সালের শুরুতে একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি চালু করা হবে। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই উদ্যোগের লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং নতুন শিক্ষাবিদদের জন্য চার মাসের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম প্রদান করা।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে এবং কাজ শুরু করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি জিইও জারি করা হবে। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে জিও ইস্যু করা হবে।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলমগীর ইউজিসিকে একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামোর আওতায় আনার প্রচেষ্টার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ সংশোধনে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি বিধিমালার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। যা অবশ্যই সার্বজনীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক আলমগীর আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামোর আওতায় আনতে কাজ করছে এবং সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর সংশোধনী শুরু করছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্ভিস রুলস থাকতে হবে এবং এই নিয়মগুলো সার্বজনীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমানে, আমরা ক্ষমতার বাইরে নতুন বিভাগ অনুমোদন করছি না। নতুন বিভাগের অনুমোদন দেওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অবশ্যই সম্পদ, স্থান এবং পরীক্ষাগারের ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যার উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করি। বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি প্রোগ্রামগুলির জন্য, সর্বাধিক ৪০ জন শিক্ষার্থী, এবং সামাজিক বিজ্ঞান প্রোগ্রামের জন্য, এটি ৫০ থেকে ৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। এটি সর্বাধিক; এটি কম হতে পারে তবে বেশি ও হতে পারে না।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে বিলম্বের কথা উল্লেখ করে আলমগীর ইউজিসির অনীহা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে রূপান্তরের বিষয়ে আমরা কিছুটা দ্বিধায় রয়েছি, কারণ বর্তমান আইন অনুযায়ী ১২ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরিয়ে নিতে হবে। যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তা মানতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের নতুন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে, আসন সংখ্যা বাড়াতে বা স্টার রেটিং পাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
১১ মাস আগে
রানীশংকৈলে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের (এলজিইডি) আওতাধীন একটি নতুন সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্মাণাধীন এই সড়ক উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের খুটিয়াটলি বাজার হয়ে বনগাঁও মোড় থেকে বনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পূর্বের পাকা সড়কে যুক্ত হয়েছে।
জানা যায়, সড়ক নির্মাণের জন্য মাটি খননের পর সড়ক রোলার না করা, বালুর বদলে মাটি মিশ্রিত রাবিশ বালু দিয়ে বালু ফিলিং করা এবং সড়কের সাব-ব্যাচে রাবিশ বালু ব্যবহার করার অভিযোগ উঠছে।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোটে কোনো অনিয়ম দেখা যায়নি: ইসি রাশিদা
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ৫৭০ মিটার নতুন সড়ক নির্মাণে ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯১ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ঠাকুরগাঁও ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম রুমান।
গত শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খনন করা সড়কটির বিভিন্ন স্থানে স্তুপ করে রাখা হয়েছে খোয়া ও রাবিশ বালু। তা ছাড়া দুই পাশের এজিং এর ইট বসানো হচ্ছে।
দেখা যায়, সড়কের সাব-ব্যাচের জন্য আনা বালুর আদলে মাটি মিশ্রিত রাবিশ বালু ও খোয়া সড়কে বিছানো হচ্ছে। তবে বালু ও খোয়া নিয়ে বেশ আপত্তি স্থানীয়দের। এ নিয়ে তাদের মাঝে বেশ ক্ষোভ রয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে ফিরোজ আলী, আনিসুর রহমানসহ অনেকে অভিযোগ করেন, খোয়া ও এজিং এ নিন্ম মানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বালুর বদলে মাটি বালু দেওয়া হচ্ছে। নামমাত্রে একবার রোলার করা হয়েছে।
সড়কে বালু ফিলিংয়ের পর পানি দিয়ে রোলার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। তাছাড়া সড়কটির নির্মাণের বিস্তারিত বণনা দিয়ে সাইনবোর্ড দেওয়ার কথা থাকলেও তা সাটানো হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।
ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম রুমান মুঠোফানে বলেন, কিছু ইট খারাপ থাকতে পারে। কারণ ইটগুলো বাইরে থেকে আনা হচ্ছে। ইটের ভেতরে কিছু ইট খারাপ থাকলে সেগুলো কাজে না লাগানোর জন্য মিস্ত্রিদের বলা রয়েছে।
মাটি যুক্ত বালু বিছানো বিষয়ে বলেন, মাটি বালু দিয়ে বালু ফিলিং ও সাব ব্যাচের কাজ করলে সড়কের কমপ্রেসার ভালো হয়। তাই এভাবে কাজ করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে রাণীশংকৈল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বে) মাইনুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, চিকন বালু দিয়েই বালু ফিলিং ও সাব ব্যাচের কাজ করতে হবে। কোনোভাবেই রাবিশ বালু ব্যবহারের সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরত্বসহকারে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে পরীক্ষায় অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ
ইবিতে নিয়োগে অনিয়ম: ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
১ বছর আগে
সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোটে কোনো অনিয়ম দেখা যায়নি: ইসি রাশিদা
আজকের উপনির্বাচনের পরিবেশ ‘ভালো’ ছিল বলে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশিদা সুলতানা বলেছেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় তারা কোনো অনিয়ম লক্ষ্য করেননি।
তিনি বলেন, আমি ঢাকার বনানী বিদ্যানিকেতন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখেছি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনো অনিয়ম শনাক্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: স্কাউটদের আইসিটিসহ আধুনিক প্রশিক্ষণ দিতে নেতৃবৃন্দের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণের পর সোমবার (১৭ জুলাই) আগারগাঁও এলাকায় নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ভোটার সংখ্যা কম দেখেছি। এটা হতেই পারে, কারণ এটি একটি অভিজাত এলাকা। তাই ভোটাররা সেরকম আগ্রহী নাও হতে পারে। আমরা কারণগুলো পরে চিহ্নিত করব।
একজন সাংবাদিককে কেন্দ্র ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে এমন দাবির জবাবে রাশিদা সুলতানা বলেন, ‘একজন সাংবাদিকের সঙ্গে ফোন থাকায় প্রিসাইডিং অফিসার তাকে বের করে দেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে আমি যখন যাই তখন অনেক সাংবাদিককে দেখেছি।’
একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী উপনির্বাচন বর্জন করার বিষয়ে ইসি রাশিদা বলেন, ‘তিনি এটা শেষ পর্যন্ত দেখতে পারতেন। তিনি সকালে নির্বাচন বর্জন করেছিলেন এবং শেষে কি হয়েছে তা দেখতে পারেননি।’
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ইসি আলমগীর
সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ও ২ পৌরসভার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
১ বছর আগে
বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা জারি
ফুটবলের বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষ ফিফা ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে)কে দেওয়া অর্থের দুর্নীতি, পাচার, আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
রবিবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর করা আবেদনটি আগামী ৯ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ মে হাইকোর্ট রুল দিয়ে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
এই আদেশ স্থগিত চেয়ে গত ২২ জুন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন।
আজ আবেদনটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানিতে কাজী সালাউদ্দিনের নাম আবেদন থেকে প্রত্যাহারের করে নেওয়ার আরজি জানান তার আইনজীবী মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন।
আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আবদুল্লাহ আল মামুন খান।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মুরাদ রেজা ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে ছিলেন।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, এই অংশে আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থিতাবস্থা দিয়েছেন চেম্বার আদালত।
তবে সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়মের অনুসন্ধান চলবে। এতে আইনগত বাধা নেই।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে গত মে মাসে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ মে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে কাজী সালাউদ্দিন, আবদুস সালাম মুর্শেদী, আবু নাঈমসহ বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
হাইকোর্ট বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে ফিফা ও সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে যুব ও ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। চার মাসের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৭ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পলাতক হিযবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার: র্যাব
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি: ইসি রাশিদা
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে এখনও কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা।
বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে নতুন করে সংলাপ সম্ভব নয়: সিইসি
তিনি আরও বলেন, শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট দেখতে পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে কোনো সমস্যা হয়নি।’
ইসির আইডিয়া প্রকল্পের ডিপিডি (কমিউনিকেশনস) স্কোয়াড্রন লিডার শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা থেকে সরাসরি এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন ভবনের পঞ্চম তলায় ইসি কন্ট্রোল রুমে সকাল ৮টা থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাশিদা সুলতানা ও আনিসুর রহমান।
আরও পড়ুন: দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে ইসির 'আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা' নেই: ইসি আনিসুর
বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচনী সহিংসতা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে: সিইসি
১ বছর আগে
বিএনপি শাসনামলের অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরুন: প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রধানমন্ত্রী
বিদেশের মাটিতে বর্তমান সরকারের প্রকৃত উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপি শাসনামলের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও বর্বরতার কথা তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময়ানুযায়ী বিকালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
যারা বিদেশে রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের অপরাধ তুলে ধরতেও বলেছেন শেখ হাসিনা।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রীকে তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন বুধবার
প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ। জনগণ এখন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তারা (বিএনপি) ভুয়া ভোটার বানিয়ে ভোটকেন্দ্রে গুন্ডা ও সন্ত্রাসী বাহিনী পাঠিয়ে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনের বিপরীতে ৭০০ প্রার্থী বাছাই করেছিল বিএনপি। তাই তাদের মনোনয়ন ব্যবসার কারণে জনগণ তাদের ভোট দেয়নি।
দেশে বিনিয়োগের বিভিন্ন সুযোগ তুলে ধরে তিনি প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আর সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না।
শেখ হাসিনা গত ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তিনি ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন।
আগামী ৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের আশ্রয়ণ বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর সমান মালিকানা: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে