তিনি বলেন, ‘সরকার ও রাজনৈতিক দল যখন সততা, আন্তরিকতা দিয়ে জনস্বার্থে কাজ করে তখন জাতির উন্নতি ও কল্যাণ নিশ্চিত হয়। সাধারণ হতদরিদ্র মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে দলমত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারলে দেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। মুজিববর্ষে এটাই হবে সবচেয়ে বড় অর্জন।’
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ’মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং নেপালের রাষ্ট্রপতি ‘নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ’ প্রতিপাদ্যে বক্তব্য প্রদান করেন।
হামিদ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনগণ বাংলাদেশকে যে সমর্থন দিয়েছিলেন তা গভীর প্রশংসার সাথে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক সফরে ঢাকায় নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী
পারস্পরিক সুবিধার জন্য নেপালের সাথে পিটিএ চান প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর জীবন, ভাবনা ও রাজনৈতিক দর্শনের মর্মার্থ সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে মুজিববর্ষ পালন একটি যথাযথ পদক্ষেপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে,’ বলেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে অন্তরালের বঙ্গবন্ধু আরও বেশি শক্তিশালী।
‘যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, এদেশের জনগণ থাকবে, ততদিনই বঙ্গবন্ধু সকলের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আলোকবর্তিকা হয়ে তিনি বিশ্বকে করেছেন আলোকময়।’
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সকলকে উদ্যোগী হতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক গভীর করতে চায় নেপাল