স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে
নেপালের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছেন।
সকাল ১০টার দিকে নেপাল এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে বিদ্যা দেবী ভান্ডারীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক গভীর করতে চায় নেপাল
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, ‘সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বিদ্যা দেবী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিশেষ বিমানটি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।’
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এ সময় ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে নেপালের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানো হয়। পরে তাকে তিন বাহিনীর সমন্বয়ে একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
নেপালের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, আইজিপিসহ পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে বাংলাদেশ সফর বিবেচনা করার প্রত্যয় ওমান সুলতানের
নেপালের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি দলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ভান্ডারী সোমবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে নেপালি প্রেসিডেন্টকে গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ঢাকায়
এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট ‘নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ’ শীর্ষক এক বক্তব্য দেবেন।
বিকালে প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে বিদ্যা দেবি ভাণ্ডারীর। বৈঠকের পর তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় যোগ দেবেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন।
পর্যটন খাত, সাংস্কৃতিক বিনিময়, বাণিজ্য এবং যোগাযোগের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মালদ্বীপ ৪ সমঝোতা স্মারক সই
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আজ বাস্তব: ট্রুডো
এর আগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
চলমান উদযাপনের অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন। মোদির সফরের আগে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিংও ঢাকায় আসবেন।