তবে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ রয়ে গেছে।
দুর্নীতির ধারণা সূচক দেখতে সিপিআই লেখাতে ক্লিক করুন।
বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআই ১৮০টি দেশ নিয়ে এ সূচক তৈরি করে।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিআই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
২০১৯ সালের সিপিআই অনুযায়ী ৮৭ স্কোর পেয়ে যৌথভাবে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ড। ৮৬ স্কোর পেয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড এবং ৮৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে রয়েছে সিঙ্গাপুর, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড।
আর সর্বনিম্ন ৯ স্কোর পেয়ে গতবারের মতো এবারও তালিকার সর্বনিম্নে অবস্থান করছে সোমালিয়া। ১২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ সুদান এবং ১৩ স্কোর পেয়ে তালিকার তৃতীয় সর্বনিম্নে আছে সিরিয়া।
সর্বনিম্ন থেকে গণনা অনুযায়ী ২০১৮ সালের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থানের এক ধাপ উন্নতি হলেও স্কোর (২৬) অপরিবর্তিত রয়েছে। আর সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ৬৮ স্কোর এবং সর্বোচ্চ থেকে গণনা অনুযায়ী ২৫তম অবস্থান নিয়ে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ভুটান। এর পরের অবস্থানে ৪১ স্কোর নিয়ে ৮০তম স্থানে রয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কা ৩৮ স্কোর পেয়ে আছে ৯৩তম অবস্থানে। ৩২ স্কোর পেয়ে ১২০তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। ২৯ স্কোর পেয়ে ১৩০তম অবস্থানে নেমে গেছে মালদ্বীপ। এরপর ১৪৬তম অবস্থানে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের পরে ১৬ স্কোর পেয়ে ১৭৩তম অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। অর্থাৎ, সর্বনিম্ন থেকে গণনা অনুযায়ী আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ সিপিআই সূচক অনুযায়ী ২০১২ সাল থেকে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সপ্তমবারের মতো এবারও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সূচকে বাংলাদেশের স্কোর কমেনি- এটুকুই সুখবর, তবে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। ২০১৯ সালে ০-১০০ স্কেলে ২০১৮ সালের সমান ২৬ স্কোর পেয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে তালিকার সর্বনিম্ন থেকে গণনা অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। এটি ২০১৮ এর তুলনায় ১ ধাপ উন্নতি। আর সর্বোচ্চ থেকে গণনা অনুযায়ী ১৪৬তম, যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৩ ধাপ উন্নতি।’
এবার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ থেকে গণনা অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থানের খানিকটা উন্নতি হলেও স্কোর গতবারের তুলনায় অপরিবর্তিত থাকায় এবং এ স্কোর বৈশ্বিক গড়ের (৪৩) চেয়ে অনেক কম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় এ দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থান অব্যাহত থাকা এখনও বিব্রতকর ও উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
‘আমাদের আরও ভালো করার সামর্থ্য ছিল। যদি রাজনৈতিক শুদ্ধাচারের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করা যেত, অবস্থান ও পরিচয় নির্বিশেষে আইনের কঠোর প্রয়োগ হতো তাহলে আমাদের স্কোর ও অবস্থানে আরও উন্নতি হতে পারত,’ যোগ করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
টিআইবির চেয়ারপার্সন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।