তিনি বলেন, ‘আশাই মানুষকে ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়, আশাই মানুষকে জীবন সংগ্রামে টিকিয়ে রাখে। সে জন্যই আমি সেই সংবাদগুলো প্রকাশের অনুরোধ জানাব, যে সংবাদগুলো মানুষের মাঝে আশা জাগাবে, মানুষকে জানাবে যে আগামীতে সব অন্ধকার কেটে গিয়ে সুদিন আসবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সংবাদপত্র মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা চেষ্টা করবেন যাতে করে ইতিবাচক সংবাদগুলো বেশি করে আসে। এ সময়ে ইতিবাচক সংবাদ খুব জরুরি। কারণ হতাশাগ্রস্ত, শঙ্কিত মানুষরা ভবিষ্যত নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। এ সময়ে মানুষকে আশাবাদী করে তোলা আমাদের দায়িত্ব।’
‘সংবাদপত্র ও সরকার, আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব। যেহেতু আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সুতরাং সেই লক্ষ্যেই আমরা সবাই একযোগে কাজ করব,’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় নোয়াব সভাপতি একে আজাদ তার বক্তব্যে সরকারি ক্রোড়পত্রসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল যাতে সংবাদপত্রগুলো দ্রুত পেতে পারে সে জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরও জোরালো ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ করেন। একই সাথে সংবাদপত্রের জন্য ব্যাংক ঋণ সুবিধা এবং সংবাদপত্রের হকার, পরিবহন শ্রমিক ও এজেন্টদের জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিষয়গুলো সুবিবেচনার দাবি জানান।
এ পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সংবাদপত্রের যে বকেয়াগুলো আছে, সেগুলো পরিশোধের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে চিঠি দিয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে সব মন্ত্রণালয় সংবাদপত্রের বকেয়া পরিশোধ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আগামী সপ্তাহে প্রয়োজনে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটা তাগিদপত্র সব মন্ত্রণালয়ে দেব।’
ড. হাছান আরও বলেন, ‘আপনারা সংবাদপত্র পরিচালনা করার জন্য যে ঋণের কথা বলেছেন, সে বিষয়েও আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কথা বলব। সংবাদপত্র আমার দৃষ্টিতে একটি সেবা খাত। আপনারা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শিল্প হিসেবেও কিছু সুবিধা পান, পাশাপাশি সেবা খাত হিসেবেও আমি মনে করি এখানে সুযোগ রয়েছে।’
তথ্যসচিব কামরুন নাহার এবং নোয়াব সদস্যদের মধ্যে মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম, তারিক সুজাত, শাহ হোসেন ইমাম, নঈম নিজাম, আলতামাশ কবির মিশু ও সাইফুল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রতিনিধিরা তথ্যমন্ত্রীর সাথে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।
ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী ও সদস্য মোতাহার হোসেন মন্ত্রীর সাথে মতবিনিময়কালে সদ্যপ্রয়াত সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের পরিবারের জন্য সাহায্য কামনা করেন। সেই সাথে করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিকদের জন্য সুচিকিৎসা ও ডিআরইউ সদস্যদের জন্য সম্ভাব্য সরকারি সহায়তার আবেদন জানান প্রতিনিধিরা।