নড়াইলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে একাধিক সংগঠন।
সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল জাগো হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও সামাজিক প্রতিবাদ কমিটি।
এছাড়া নারীমুক্তি সংঘ, বাংলাদেশ প্রগতি সংঘ, ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ প্রভৃতি সংগঠন সামাজিক প্রতিবাদ কমিটির ব্যানারে একত্রিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম সামজিক প্রতিবাদ কমিটির কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সোনার বাংলাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। কিন্তু নড়াইলের ঘটনা প্রমাণ করেছে আমরা মানুষ হিসেবে নিপতিত হচ্ছি।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছনা: বিচারিক তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি বলেন, ‘শুধু নড়াইলের ঘটনা নয়। ২০১২ সালের রামুর ঘটনার বিচার হয়নি। অন্যায়ের এই সংস্কৃতি আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহিংসতা বন্ধে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা এখন যে বাংলাদেশ দেখছি সেটা আমাদের চেনা বাংলাদেশ নয়। আমাদের দেশটি সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠতে চলেছে। এটাকে নিরাপদ রাখতে আমাদের সেই বিদ্বেষপূর্ণ উপাদানগুলোকে তাদের বিষবাষ্প ছড়ানো থেকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাঙচুর: গ্রেপ্তার যুবকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
নড়াইলের হামলায় ভুক্তভোগী ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে পাঁচ দফা দাবিও জানান তারা।
দাবিগুলো হলো- হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র উদঘাটনে একটি সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই হামলার যাবতীয় বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, রাজনীতির নামে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা।