তিনি বলেন, ‘সরকার যখন কোনো কিছু রক্ষায় দায়িত্ব নেয় সেটি ব্যর্থ হতে পারে না। সারা দেশে সক্ষমতা অনুযায়ী নদী উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’
রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘বিশ্ব নদী দিবস’ উপলক্ষে পদযাত্রার আগে সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘নদী রক্ষায় আমাদের দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে, আমাদের কোনো ভুল পদক্ষেপের কারণে কেউ যাতে আইনগত সুবিধা নিতে না পারে সে দিকে সজাগ থাকতে হবে।’
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার খুবই আন্তরিক জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে নদী তীরের দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস ও ত্রাসের মাধ্যমে সবকিছু ওলট-পালট করে ফেলে।
‘তাদের সময় সংসদের বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামালা হয়, সন্ত্রাসী কায়দায় বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়। যারা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা দিতে পারেনি, তারা কীভাবে নদী রক্ষা করবে,’ প্রশ্ন করেন খালিদ মাহমুদ।
দেশের অর্থনীতি ও নদী ধ্বংস করার জন্য প্রতিক্রিয়াশীলরা বসে নেই। তারা যাতে কোনোভাবেই নদীর রক্ষার আন্দোলনকে নষ্ট করতে না পারে সে দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নদী রক্ষায় বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের সাথে সাধারণ মানুষ ও নাগরিক সমাজ রয়েছে। সেই সাথে গণমাধ্যম ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করছে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, পরিবেশবিদ মিহির বিশ্বাস, সামস সুমন, মো. আলী, মো. শহীদুল্লাহ, হাসান ইউসুফ খান, শেখ রোকন ও এজাজ আহম্মেদ।
বাংলাদেশে নদী রক্ষায় নিবেদিত ৭০টির বেশি পরিবেশ সংগঠন, উদ্যোগক্তা ও আন্দোলনকারী সমাবেশ ও পদযাত্রার এ আয়োজন করে।