তিনি বলেন, ‘জনগণকে যদি সেবা নিশ্চিত করা হয়, তাহলে জনগণও কর পরিশোধ করবে।’
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে 'ক্যাপাসিটি ডেভলপমেন্ট অব সিটি করপোরেশন' প্রকল্পের ‘বিয়ন্ড কোভিড-১৯: সিটি করপোরেশন (লোকাল গভর্নমেন্ট) ফিসকাল স্পেস’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সিটি করপোরেশেনগুলোকে নিজস্ব অর্থায়ানে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য নানামুখী কার্যক্রমের পাশাপাশি কর আদায়ে আরও বেশি ভূমিকা নেয়ার জন্য মেয়রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জনগণের সাথে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে সকল জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ে এবারের পূর্বাভাস মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে: এলজিআরডিমন্ত্রী
১৫ গ্রামে হবে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ পাইলট প্রকল্প: এলজিআরডিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, জনগণ যদি বুঝতে পারে তারা ১ হাজার টাকা কর পরিশোধ করলে সরকার তাদেরকে ১০ হাজার টাকার সুযোগ সুবিধা দিবে। তখন জনগণ নিজ ইচ্ছায় কর পরিশোধ করবে। কোনো জোর করার প্রয়োজন হবে না। জনগণকে আপনারা যে সেবা দিচ্ছেন বা দিবেন তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আশ্বস্ত করতে হবে। তবেই জনগণ সেবার বিনিময়ে কর পরিশোধ করবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ যখন জানবে যে তার করের টাকা দিয়ে রাস্তা করা হবে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে, ধূলাবালি থাকবে না, মশা থাকবে না, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত সব কিছুর ব্যবস্থা থাকবে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে তখন কর দিতে তারাও দায়বদ্ধ থাকবে।’
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শুধু পাকিস্তানই নয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের থেকে উন্নয়নের বিভিন্ন ইনডিকেটরে এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩০০ ডলার আর আমাদের দেশের ২ হাজার ১০০ ডলার। শুধু মাথাপিছু আয় নয় সকল খাতে আমরা এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক উপরে আছি। আর এটা শেখ হাসিনার জন্য সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকাবাসীকে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে কাজ করছে দুই সিটি করপোরেশন, এক মন্ত্রণালয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রথম থেকেই অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে করোনা মোকাবিলা করে আসছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, কোভিড টেস্ট করার জন্য শুরুতে দেশে মাত্র একটি পিসিআর ল্যাব ছিল। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে ১০০ এর উপরে পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। এছাড়া দেশের প্রত্যেকটি জেলা এবং উপজেলায় আইসিইউ স্থাপন করেন। শেখ হাসিনার ৩১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করায় করোনা সংকট অন্যান্য দেশ থেকে তুলনামূলকভাবে মোকাবিলা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে প্রকল্পে সহায়তাকারী উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।