এছাড়া তার বিরুদ্ধে নিজ দপ্তরের অধস্তন কর্মকর্তা, অন্য দপ্তরে কর্মকর্তা এমনকি রাজনীতিবিদ ও স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের কর্মকর্তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
ফেসবুকে ওই সহকর্মীকে অব্যাহত কু-প্রস্তাব দেয়ায় বাধ্য হয়ে গত ২৪ অক্টোবর ডিসির বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রনসালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ম্যাজিস্ট্রেট।
টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি রনেন রায় ও দিঘাপতিয়া এমকে কলেজের অধ্যক্ষ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জেলা প্রশাসকের এ ধরনের আচরণকে অনভিপ্রেত, দায়িত্বহীনতা ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর নাটোরের জেলা প্রশাসক পদে যোগদান করেন ২০তম ব্যাচের এ কর্মকর্তা। যোগদানের পর নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েনে তিনি। নাটোর শহরের প্রাচীন শিশু পার্কটি ভেঙ্গে বন্ধ করে সেখানে লেডিস ক্লাব নির্মাণ করেন ডিসি গোলামুর রহমান।
ফেসবুকে নিজ দপ্তরের নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে যৌন হয়রানির ব্যাপারে জেলা প্রশাসক গোলামুর রহমান স্পষ্ট কোনো জবাব দেননি। তবে তার আইডি হ্যাক হতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, সামাজিক মাধ্যম নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না।
একটি সূত্র জানায়, ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসক গোলামুর রহমানের সম্পর্কে গোপন তদন্ত করেছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থা।