তিনি বলেন, ‘জমির নামজারি ও নিবন্ধন সেবা সমন্বয় কার্যক্রম দেশব্যাপী চালু হলে প্রতিবছর প্রদত্ত ২০ থেকে ২২ লাখ নামজারি সেবা আরও দ্রুততা ও দক্ষতার সাথে দেয়া যাবে। ফলে বছরে সংশ্লিষ্ট এক কোটির অধিক মানুষ এ সেবার মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হবেন। মানুষের ভূমি-সংক্রান্ত হয়রানি কমবে।’
সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমি সচিব জমির নামজারি ও নিবন্ধন সমন্বয় কার্যক্রমের সদয় অনুমোদন প্রদান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে প্রযুক্তিমুখী মন্ত্রী আখ্যায়িত করে ভূমি সচিব বলেন, ‘তার নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয় সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
ভূমি সচিবের সভাপতিত্বে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বচ্ছতার সাথে জমির নিবন্ধন করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার নামজারি ও রেকর্ড সংশোধন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব ৯ নভেম্বর মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়। এটুআইয়ের সহযোগিতায় ভূমি মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগের ফসল এ প্রক্রিয়ায় জমির নিবন্ধন শেষ হওয়ার আট দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি হয়ে যাবে। এখন দেশের ১৭ উপজেলায় এ কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এটি চালু হবে।