নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর উপকন্ঠে বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া দুই বাসের সংর্ঘষে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়া নিহত, ১০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার প্রতিবাদে নিরাপদ সড়কের দাবিতে তরুন শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। সড়ক দুর্ঘটনার নামে ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও সড়কে নারকীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী গড়ে উঠা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও সফল এই অহিংস আন্দোলনে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নিয়েছে, সমর্থন দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণীমহলসহ প্রশাসনের সকলেই এই আন্দোলনকে সমর্থন জানালেও এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তরুন শিক্ষার্থীসহ সমর্থনকারী অসংখ্য নিরপরাধ ব্যক্তির নামে দায়েরকৃত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা আজো প্রত্যাহার করা হয়নি।
সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের দেখানো পদ্ধতি সবার চোখ খুলে দিয়েছে বলা হলেও পরবর্তী সময়ে তার ধারাবাহিকতা না থাকায় সড়কে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার নারকীয় পরিবেশের তেমন কোন উন্নতি হয়নি বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তড়িগড়ি করে নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পাস করা হলেও আইন বাস্তবায়নে অতীতের ন্যায় মালিক-শ্রমিক সংগঠনের অঘোষিত কর্মবিরতির নামে ধর্মঘট ডেকে দেশবাসীকে জিম্মি করার কারনে আজো এই আইন বাস্তবায়নে গতি পাই নি।
বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে নিরাপদ সড়ক আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের পাশাপাশি আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী তরুন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।