গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সুস্থ হতে আরও চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে এবং পরিবার চাইলে আগামী কয়েক দিন পর তাকে বাসায় নিয়ে যেতেও পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
সোমবার(৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে নিজ কার্যালয়ে নুরুল হক নুরের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
পরিচালক বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সুস্থ হতে আরও চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে এবং চাইলে আগামী কয়েক দিন পর পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।
তিনি বলেন, গত ২৯ আগস্ট আমাদের এখানে আহত অবস্থায় নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের অনস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টার (ওসেক) তাকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে আইসিউতে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আইসিইউ থেকে শিফট করা হয়।
পড়ুন: হত্যার উদ্দেশ্যেই নুরকে আঘাত করা হয়: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, নুরুল হক নুরের চিকিৎসায় ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। নুরের নাকে হাড় ভাঙার কারণে মাঝে মাঝে রক্তপাত হচ্ছে। লোক যখন একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায় তখন তার দুই নাকে প্যাক দেওয়া ছিল যাতে তার রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেটি আমরা খুলে দেই। পরে আবার সেখান থেকে রক্ত দেখা যায় এটা মাঝেমধ্যেই আসতে পারে যেহেতু সেখানে একটি রস সারফেস রয়েছে। মাঝেমধ্যে হাসি বা কাশি দিলে রক্ত আসতে পারে কিন্তু সেটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তার নাকের হাড় ভাঙলেও তার স্ট্রাকচার চেঞ্জ হয়নি। নূরের আরেকটি ফ্রাকচার ছিল ম্যাক্সিলাতে। সেটা ইনকমপ্লিট ফ্রাকচার না লিনিয়ার ফ্রাকচার এটাও কিন্তু ডিসপ্লেস না। এটাও ঠিক হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগবে।
নুরের চোখের সম্যার বিষয়ে তিনি বলেন, চোখের পাশে যেকোনো ধরনের আঘাত লাগলে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধে। চোখের নিচে যে রক্ত জমাট ছিল সেই জমাটটি আর এখন দেখা যাচ্ছে না। পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছে।
তার মাথার আঘাতের বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, তার মাথায় যে আঘাত ছিল সেটি ছিল খুবই মাইনর। তিনি আইসিইউতে থাকতে আমরা একটি সিটি স্ক্যান করাই। সেখানে যে অল্প পরিমাণ রক্ত জমা ছিল সেটি এবজর্ভ হয়ে গেছে। এখন তিনি স্থিতিশীল আছেন এবং গ্রাজুয়েলি তার উন্নতি হচ্ছে।
পরিচালক আরও জানান, আজকে আমি দেখে আসলাম তার একটু ঠান্ডা এবং সঙ্গে জ্বর রয়েছে। তার বর্তমানে একশোর মতো জ্বর রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত তার জ্বর ছিল না আমরা বিশেষজ্ঞকে ডেকে এনে তাকে দেখানো হয়েছে। এটা সিজনাল জ্বরও হতে পারে এখন ডেঙ্গুর সিজন ডেঙ্গু হতে পারে কিছু পরীক্ষা দিয়ে গেছেন সেটি করালে জানতে পারব।
গণঅধিকার পরিষদ থেকে যে অভিযোগটি করা হচ্ছে মাথায় আঘাতের কারণে নুরের শর্ট মেমরি লস হচ্ছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, এই ধরনের আঘাতের কারণে শর্ট মেমোরি লস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
নুরুল হক নুরকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, নুরের পরিবার চাইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিতে পারে।