নয়াদিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসে সকল সাড়ে ১১টায় (স্থানীয় সময়) এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
এর আগে, দুদেশের নেতাদের মধ্যে একটি ব্যক্তিগত বৈঠক হয়।
হাসিনা-মোদি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় ইস্যু ছাড়াও বাণিজ্য ও যোগাযোগের বিষয়গুলোতে উভয় দেশের পক্ষে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
প্রতিবেশী দুদেশের সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের জন্য শেখ হাসিনা এবং মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আন্তদেশীয় নদীর পানি বণ্টন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং বিনিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে কমপক্ষে ১০-১২ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে, তবে কতগুলো চুক্তি হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র রবীশ কুমার শুক্রবার নয়াদিল্লীতে সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনার পর যোগাযোগ, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে ছয় থেকে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, হাসিনা ও মোদি যৌথভাবে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। তবে তিনি প্রকল্পগুলোর নাম প্রকাশ করেননি।
আলোচনার এজেন্ডা সম্পর্কে জানতে চাইলে কুমার বলেন, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু থাকবে।
হাসিনা-মোদি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সীমান্ত হত্যা হ্রাস করে শূন্য কোঠায় নিয়ে আসা, আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, জ্বালানি ও পানি বণ্টন সহযোগিতা বাড়ানোর মতো বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, প্রতিবেশী দুদেশের সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারে ১৮টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।
চুক্তিগুলোর মধ্যে- হোয়াইট শিপিং ইনফরমেশন, এয়ার সার্ভিসেস এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের ব্যবহার সংক্রান্ত তিনটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি থাকবে।
সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে থাকবে- যুব ও ক্রীড়া, বিএসটিআই, সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম, বস্ত্র ও পাট, বাণিজ্য প্রতিকার ব্যবস্থা, উপকূলীয় নজরদারি ব্যবস্থা, দুই দেশের মধ্যে যৌথ চলচ্চিত্র তৈরি, সমুদ্রবিষয়ক গবেষণা, মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইড্রোকার্বন খাতে সহযোগিতা, দুর্যোগ ত্রাণ, এক্সিম ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার স্থায়ী অফিস প্রতিষ্ঠা, আইসিটি, স্টার্ট-আপস-উদ্ভাবন এবং ইনকিউবেশনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা।