স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ চন্দ্র রায় গোপনে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী তমিজউদ্দিনের কাছে এক লাখ টাকার বিনিময়ে এসব গাছ বিক্রি করেছেন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করতে অনুমোদন লাগে। এ ক্ষেত্রে বনবিভাগ গাছের দাম নির্ধারণ করার পর নিলামের মাধ্যমে তা বিক্রি করে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করতে হয়।
এ নিয়ম লঙ্ঘন করে বিক্রি করা গাছ কাঠ ব্যবসায়ীর লোকজন কাটা শুরু করলে স্থানীয়রা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে। এ ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বিষয়টি তদন্ত এবং বোদা উপজেলা প্রশাসন গাছগুলো জব্দ করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসকে নির্দেশ দিয়েছে।
এলাকাবাসীর মতে, ১৪-১৫ বছর বয়সী এসব বড় গাছের মূল্য প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী জানান, ময়দানদিঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারের নির্দেশে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এগুলো আশপাশের ক্ষেতের ক্ষতি করছে- এমন অভিযোগের কারণে কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়।
চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার দাবি করেন, ‘গাছগুলো কাটার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমি নিয়ম মেনে কাটার পরামর্শ দিয়েছি।’
তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএম শাহজাহান সিদ্দিক জানান, অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোদা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ হাসানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাহমুদ হাসান বলেন, অভিযোগের পর কাটা গাছগুলো জব্দ করার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।