শনিবার সকালে তিনি ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’ নামে পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন করেন।
‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের’ প্রথম পর্যায়ের কাজ জাজিরা ও শিবচর হয়ে মাওয়া ও ভাঙ্গার মধ্যে রেল সংযোগ স্থাপন করবে।
এটি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোরের মধ্যে বৃহত্তর সংযোগ স্থাপন করবে।
চীন সরকার মনোনীত নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড চীন জিটুজি সিস্টেমের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
এ বিষয়ে চীনের এক্সিম ব্যাংকের সাথে ২,৬৬৭ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় ২৩ কিলোমিটার এলিভেটেড সেতুপথ নির্মিত হবে।
এই সেতুপথে একাধিক লিফটসহ দু’টি প্ল্যাটফর্ম, একটি মেইন লাইন ও দু’টি লুপ লাইন নির্মাণ করা হবে।
এর আগে সকাল ১১ টায় মাওয়ায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া অংশে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর অগ্রগতি কাজের নামফলক উন্মোচন করেন।
পরে শেখ হাসিনা ঢাকা-মাওয়া ও পাচ্চর-ভাঙ্গা অংশের এন-৮ মহাসড়কের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন এবং মাওয়া অংশে রেল সংযোগের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
এছাড়া তিনি স্থায়ী নদীশাসন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী মাওয়া অংশে পদ্মা সেতু নির্মাণের সামগ্রিক কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
পরে মাওয়া গোলচত্বরে এক সুধি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা।