রবিবার সকাল ৬টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়। চলবে আগামীকাল মঙ্গলাবর সকাল ৬টা পর্যন্ত।
ধর্মঘটে রাজধানীতে প্রথমদিনের মতো দ্বিতীয় দিনও গণপরিবহণ দেখা যায়নি। এদিনও পরিবহন শ্রমিকরা বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস চলাচলে বাধা প্রদান করে।
সকাল থেকে কর্মস্থল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানমুখী বিপুল সংখ্যক লোকজনকে গণপরিবহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু কোনো গণপরিবহন না পেয়ে অনেককে অতিরিক্ত ভাড়ায় অটোরিকশা ও রিকশায় চেপে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। অনেককে রিকশা ভ্যানে গাধাগাধি করে চড়ে এবং পায়ে হেঁটেও গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
এছাড়া সরকারে মালিকানাধীন বিআরটিসির কিছু বাস চলাচল করে। সেগুলোতে বিপুল সংখ্যক যাত্রী ঠাসাঠাসি করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।
এদিকে গাবতলি, মহাখালী ও সায়েদাবাদ থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। একই সঙ্গে কোনো জেলা থেকে এসব বাস টার্মিনালে কোনো বাস আসেনি।
ইউএনবি জেলা সংবাদদাতারা জানান, তাদের জেলায়ও পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত আছে। সেখান থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। স্থানীয় রুটগুলোতেও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করছে শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের আট দফা দাবি হলো- সড়ক দুর্ঘটনার সব মামলা জামিনযোগ্য করা, দুর্ঘটনায় চালকের পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিল, চালকের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণির পরিবর্তে পঞ্চম শ্রেণি করা, ৩০২ ধারার মামলার তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখা, পুলিশি হয়রানি বন্ধ, ওয়ে স্কেলে জরিমানা কমানো ও শাস্তি বাতিল এবং গাড়ি নিবন্ধনের সময় শ্রমিক ফেডারেশন প্রতিনিধির প্রত্যয়ন বাধ্যতামূলক করা।
গত ১২ অক্টোবর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন তাদের ৮ দফা দাবি তুলে ধরে সরকারকে তা মেনে নেয়ার জন্য আল্টিমেটাম দেয়। তখন তারা ২৭ অক্টোবরের মধ্যে দাবি না মানলে পরদিন থেকে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। সংগঠনটির কার্যকরি সভাপতি নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান।