বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৬১ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ১২ তলাবিশিষ্ট পানি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব প্রকৌশলীদের নকশায় প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার বর্গফুটবিশিষ্ট এ ভবনের নির্মাণে লেগেছে প্রায় সাড়ে চার বছর। কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পানি ভবনে সোলার প্যানেল, সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, রেইন ওয়াটার রিজার্ভারের মতো পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাসহ ৫৩৬ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অডিটরিয়াম, ৪ হাজার ৫০০ বর্গফুটের হেলিপ্যাড, ৩৭৬টি গাড়িপার্কিংসহ অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে।
এই কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতিবিজড়িত পুকুরটি (২১ হাজার ৪৮৪ বর্গফুট) সংরক্ষণ করা হয়েছে ও ২০ হাজার ৬২৫ বর্গফুটের একটি জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ এবং ১৯৫৫ সালের উপর্যুপরি ভয়াবহ বন্যার পর জাতিসংঘের অধীনে গঠিত ক্রুগ মিশনের সুপারিশক্রমে সেচ ব্যবস্থা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ পানি সম্পদের উন্নয়ন এবং বিদ্যুত ব্যবস্থাপনায় পূর্ব পাকিস্তান পানি ও বিদ্যুত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ইপিওয়াপদা) গঠিত হয়। ১৯৭২ সালে ইপিওয়াপদার ‘পানি উইং’ নিয়ে ‘বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড’ (বাপাউবো) নামে স্বতন্ত্র সংস্থা সৃষ্টি হয়।