প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান ও স্মৃতিকাতর হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রণব মুখার্জির সাথে বঙ্গবন্ধু পরিবার ও শেখ হাসিনার নিজের বহু স্মৃতি প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন।
এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন রাজনীতিবিদ ও আমাদের পরম সুহৃদ হিসেবে প্রণব মুখার্জির অনন্য অবদান কখনও বিস্মৃত হবার নয়। আমি সবসময় মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভারতে নির্বাসিত থাকাকালীন প্রণব মুখার্জি আমাদের সবসময় সহযোগিতা করেছেন। এমন দুঃসময়ে তিনি আমার পরিবারের খোঁজখবর রাখতেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে আমার ছোট বোন শেখ রেহানা ও আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। দেশে ফেরার পরও প্রণব মুখার্জি সহযোগিতা এবং উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি আমাদের অভিভাবক ও পারিবারিক বন্ধু। যেকোনো সংকটে তিনি সাহস যুগিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে ভারত হারালো একজন বিজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক নেতাকে আর বাংলাদেশ হারালো একজন আপনজনকে। তিনি উপমহাদেশের রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বেঁচে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি সোমবার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
এই মাসের শুরুর দিকে মস্তিষ্কে অপারেশনের পর তিনি কোমায় ছিলেন।
প্রণবের ছেলে অভিজিৎ মুখার্জি এক টুইটে বলেছেন, ‘দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আপনাদের জানাচ্ছি যে, আর আর হাসপাতালের চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রম সত্ত্বেও আমার বাবা শ্রী প্রণব মুখার্জি কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন। সবাই আমার বাবার জন্য দেয়া করবেন। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, আজ সকালে দিল্লির আর্মি হাসপাতাল জানায় যে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
গত ১০ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। একইদিন তার মস্তিষ্কে অপারেশন করা হয়। হাসপাতালে তার শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়।
সেদিন টুইটে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘অন্য একটা কাজে হাসপাতালে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করিয়েছি। আমার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমার আবেদন গত কয়েকদিনে, যারা আমার সংস্পর্শে এসেছেন নিজেকে কোয়ারান্টাইন করুন।’