প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদায়ী তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরানকে বলেছেন, উভয় দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতা ছাড়াও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নতুন বিনিয়োগের জন্য আরও তুরস্কের বিনিয়োগকে আকর্ষণ করছে।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে ইতোমধ্যেই তার দেশের দুটি কোম্পানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে চলতি বছর ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জ্বালানি সরবরাহে ট্রানজিট দেশ হতে পারলে তুরস্ক যথেষ্ট খুশি হবে: তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষ করে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে।’
তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে সংলাপ করতে বাংলাদেশে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক আয়োজনের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাংলাদেশের নিজস্ব বিষয়, বিদেশিদের নয়: তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
সর্বশেষ কমিশন সভা ২০১৯ সালে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে তার দেশ প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রী তুরস্ককে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার অনুরোধ জানান, কারণ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য গুরুতর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জবাবে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক হস্তান্তর