তিনি বলেন, ‘সবার আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে। সেজন্য যা যা করণীয় করা হবে। প্রয়োজন হলে কিছু জায়গায় শাটডাউন করা হবে।’
বুধবার সচিবালয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস আতঙ্কে ঢাকার রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মঙ্গলবার বার বার বলেছেন, টেস্টের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত। আমরাও সেটি অনুসরণ করে এগিয়ে যাব।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের আরও বলেন, আমেরিকার মতো বিরাট শক্তির দেশেও বিভিন্ন বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং টেস্টে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। আমাদের তো অভিজ্ঞতা নেই। তবুও ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছি। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যা প্রয়োজন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবুও সতর্কভাবে করোনা মোকাবিলার সকল প্রস্তুতি নেব।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ইতালি ফেরত প্রবাসীর করোনা শনাক্ত
সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকারিভাবে কঠোর নজর দেয়া হবে। সাংবাদিকরাও সঠিক রিপোর্ট করবেন। এখানে প্রাণ বাঁচানোর বিষয়। প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এখানে রাজনীতি না করে সকল রাজনৈতিক দলের কাছে অনুরোধ, করোনা অভিন্ন শত্রু, কোনো পলিটিক্স না করে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের জন্য এটি নতুন অভিজ্ঞতা। যে সরঞ্জাম দরকার তার ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছি। ঘাটতি পূরণে আন্তরিকতার ঘাটতি নেই।
‘আমাদের শত্রু করোনা ভয়ংকর। তবে আমরা জাতি হিসেবে আমরা প্রমাণ করেছি করোনার যে শক্তি তারচেয়েও বড় শক্তি আমাদের সম্মিলিত শক্তি। এ যুদ্ধের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী। তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী আমরা সম্মিলিতভাবে, যা প্রতিরোধযোগ্য। আমরা এটি পরাজিত করতে পারব বলে আশা করছি,’ উল্লেখ করেন তিনি।
রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সভা সমাবেশে যাব না। সেজন্য বঙ্গবন্ধুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সীমিত করেছি। টুঙ্গীপাড়ার মানুষের ঢল নামার কথা, সেখানে আমরা অনেক সীমিত করেছি। অনুষ্ঠানমালা পুনর্বিন্যাস করে বিশ্বব্যাপী করোরোনার যে আতঙ্ক যা সামনে না বাড়তে পারে, সেজন্য যথেষ্ট সতর্কতার সাথে মোকাবিলা করব।