শনিবার ভোরে অক্টো অফিস কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া শিক্ষার্থী সায়হাম আহম্মেদ বাপ্পী ফতুল্লার গাবতলী এলাকার নাজমুল আলমের ছেলে। সে ঢাকা কমার্স কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওই শিক্ষার্থী বাসা থেকে বের হয়ে ঈদগাহের কাছ দিয়ে রিকশাযোগে কলেজে যাচ্ছিল। এমন সময় তিনজন যুবক তার রিকশার গতিরোধ করে এবং তাকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখালে ছিনতাইকারীদের ধাক্কা দিয়ে সে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় ছিনতাইকারীরা তাকে আটকে মারধর শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা ছিনতাইকারীদের আটকে গণপিটুনী দেয়া শুরু করলে তাদের একজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অপর দুজন সজিব ও মামুনকে (৩২) বেঁধে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতাল নিয়ে গেলে সজিব মারা যায়। মামুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খানপুর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘সজিব ও মামুনকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর আগেই সজিব মারা গেছে। আমরা তাকে মৃত পেয়েছি। অপরজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছি। তবে এখনও (দুপুর ১.৩০ মি) পর্যন্ত মামুনকে ঢাকায় নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি।’