গত ১০ মার্চ রাজধানীর হাতিরপুল এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
কাজল বর্তমানে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় উদ্ধার হওয়ার পর তার ছেলে মনোরম পলকের সাথে প্রথম কথা বলেন কাজল।
বেনাপোল রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার আশেক আলী সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে উদ্ধারের বিষয়টি প্রথমে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘রাতে টহল দলের বিজিবি সদস্যরা সাদিপুর সীমান্তের একটি মাঠের মধ্য থেকে সাংবাদিক কাজলকে উদ্ধার করে। পরে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। কাজলের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে রাতেই তাকে নিতে বেনাপোলের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।’
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুল এলাকার নিজ কর্মস্থল থেকে বের হওয়ার পরপরই নিখোঁজ হন কাজল। তার কোনো সন্ধান না পেয়ে ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন। ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শফিকুল ইসলাম কাজলকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত দেয়ার দাবি জানায় তার পরিবার।
সাংবাদিক কাজল নিখোঁজ হওয়ার পর তার সন্ধানের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েকদফা কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিক সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা।
তবে নিখোঁজের বেশ কয়েকদিন পর সাংবাদিক কাজলের ফোন নম্বরটি বেনাপোলে চালু হয় বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই মুন্সী আবদুল লোকমান।