একই সাথে ভাস্কর্য, ম্যুরাল, প্রতিকৃতি ও স্ট্যাচুর পক্ষে সচেতনতা গড়তে ইসলামি ফাউন্ডেশন ও ইসলামি খতিবকে গণমাধ্যমে প্রচারণা চালাতে বলেছে আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের চরম মূল্য দিতে হবে: আ’ লীগ
এর আগে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ দেশের সব ভাস্কর্যের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।
রিটে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সেই সাথে ভাস্কর্য নিয়ে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া রিটে রুলও চাওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উত্তম লাহেড়ী বাদী হয়ে এ রিট করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা: বাবুনগরীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীতে জাতির পিতার একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের সৃষ্টি হয়। গত ১৩ নভেম্বর দেশে ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিম।
চলমান এ পরিস্থিতির মধ্যেই গত শুক্রবার রাতের আঁধারে কুষ্টিয়া শহরের ব্যস্ততম পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের ডান হাত, পুরো মুখমণ্ডল ও বাঁ হাতের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মাদরাসার দুই শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষককে আজ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
এদিকে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে মন্তব্যের জন্য রাষ্ট্রদোহের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী, মামুনুল হক ও সৈয়দ ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।