জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে আটক করেছে র্যাব। বুধবার সকালে রাজধানীর ইশা খাঁ হোটেল থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউএনবির রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, গত ২১ নভেম্বর রাত থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে পৌর মেয়র আব্বাসের বিতর্কিত বক্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এক মিনিট ৫১ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপে মেয়র আব্বাসকে বলতে শোনা যায়, ‘কাটাখালীতে সিটি গেটটি দ্রুত নির্মাণ হবে। তবে আমরা যে ফার্মকে কাজটি দিয়েছি, তারা গেটের ওপরে বঙ্গবন্ধুর যে ম্যুরাল বসানোর ডিজাইন দিয়েছে, সেটি ইসলামি দৃষ্টিতে সঠিক না। এটি করলে পাপ হবে। তাই আমি সেটিকে বাদ দিতে বলেছি।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতেই সিলেট বিভাগের প্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মিত হয়
পরে ২২ নভেম্বর রাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মোমিন নগরের বোয়ালিয়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। রাতেই সেই মামলা রেকর্ড করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
এরপর গত ২৬ নভেম্বর বিকালে অজ্ঞাত স্থান থেকে ফেসবুক লাইভে তিনি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য স্বীকারোক্তি দেন। প্রায় ২০ মিনিটের ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, এক বড় হুজুরের আপত্তির কারণে এসব মন্তব্য করেছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিটি ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কাটাখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের পদ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। একই সাথে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিকে সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগ।
সোমবার রাতে মেয়র আব্বাসের ব্যক্তিগত সহকারী লিটনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নেয়া হয়। তার দেয়া তথ্যে পুলিশ আব্বাসের অবস্থান জানতে পারে।