সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানি বা প্ররোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সতর্কতা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া কোনো ধরনের ভুয়া বার্তা, উস্কানি বা প্ররোচনামূলক পোস্টে বিভ্রান্ত না হতে নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ নির্দেশনা দেয় দলটি।
নির্দেশনায় যেকোনো তথ্যের জন্য আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ইমেইলে ([email protected]) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তা আইন বাতিলের নিন্দা জানিয়েছে অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো প্রকার উস্কানি বা প্ররোচনার ফাঁদে পা দেবেন না। সারাদেশে জুলাই মাসের শেষ থেকে আগস্টের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর যত হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেগুলোর ছবি ও ভিডিও টুইটার[এক্স], ফেসবুক, ইউটিউবে প্রচার করুন। দেশবাসীকে জানাতে হবে কি নির্যাতন হয়েছে গত দেড় মাসে আওয়ামী লীগের ওপর।’
জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে তাই কোনো ধরনের উস্কানিমূলক পোস্ট বা ভুয়া বার্তায় বিভ্রান্ত না হতে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়।
দলটি পোস্টে আরও নির্দেশনা দিয়েছে, ‘প্রতি মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় ও নেতার কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে যে ক্ষতি হয়েছে তা দেশের মানুষকে জানান। বর্তমানে যারা দেশ চালাচ্ছে তাদের কাছেও আমরা দাবি জানাব সব হামলা, নির্যাতন, ভাঙচুর, লুটপাটের বিচার করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
এছাড়াও দলের নেতাকর্মীদের তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি জয়ের
৩ মাস আগে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকায় চীনা নাগরিকসহ গ্রেপ্তার ১৫
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে শনিবার (২৫ নভেম্বর) এক চীনা নাগরিকসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ ঘটনায় চক্রটির ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই চক্রের প্রধান ঝ্যাং জি ঝাহ্যাং (৬০) নামে এক চীনা নাগরিক।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) রাজধানীর হাতিরঝিল ও কাফরুল থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
চক্রটি বৈধ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছাড়াই সহজ ঋণের সুযোগ এবং চাকরির আবেদনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করে প্রতারণামূলক স্কিমগুলোতে জড়িত ছিল।
অভিযানের সময় পুলিশ সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে আলামত জব্দ করে এবং ২৯টি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের তথ্য উদঘাটন করে।
আরও পড়ুন: রংপুরে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সাড়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, গত দুই বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এই গ্রুপটি।
তবে এই অর্থের কোনোটিই বাংলাদেশে নেই। সবগুলোই চীনে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুধু গত ছয় মাসে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ৫০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এই চক্রটি দেশটিতে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ মানুষকে প্রতারিত করেছে।
ডিবি প্রধান তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চীনা নাগরিকদের তৈরি একটি অ্যাপের সার্ভার সিঙ্গাপুরে রয়েছে এবং কল সেন্টারগুলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে অবস্থিত। চক্রটি ভুক্তভোগীদের অল্প পরিমাণ টাকা দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত।
তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করার জন্য প্রতারিতদের প্রলুব্ধ করেছিল। যা একবার ইনস্টল হয়ে গেলে প্রতারকদের ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোনে ফটো, ভিডিও এবং যোগাযোগের তালিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারত।
পরবর্তীকালে, প্রতারকরা ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করতে এবং অর্থ আদায়ের জন্য এই তথ্য ব্যবহার করে, কখনও কখনও মিথ্যা ছবি এবং ভিডিও তৈরি করে।
হারুন আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশে এসব অ্যাপ থেকে ঋণ নিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়ে ৬০ জনের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কেউ আত্মহত্যা করেছে কিনা তা জানা যায়নি।
ডিবি প্রধান পরামর্শ দেন, এই চক্রের হাতে কেউ প্রতারিত হলে ভুক্তভোগীর মামলা করা উচিত।
তিনি আরও জানান, এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। তারা আত্মগোপনে চলে গেছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে ডিবির অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে জাপা: চুন্নু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়া, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট
১ বছর আগে
নতুন লুকে ফিরলেন ওমর সানি
অনেকদিন ধরে পর্দায় উপস্থিতি নেই নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানির। তবুও আলোচনার বাইরে থাকেননি তিনি। বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার লেখা বেশ আলোচনা তৈরি করছে। কিন্তু এসব কিছু ছাপিয়ে নতুন খবর হচ্ছে আবারও বড়পর্দায় দেখা যাবে এই তারকাকে।
মো. ইকবাল পরিচালিত ‘ডেডবডি’ সিনেমায় অভিনয় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ওমর সানি। আর এতে নতুন এক লুকে দেখা যাবে তাকে।
ছবিটিতে যুক্ত হয়ে ওমর সানী বলেন, ‘সবাই দোয়া করবেন। কারণ প্রায় দুই থেকে তিন বছর পর নতুন সিনেমায় কাজ করব। তাই আনন্দ হচ্ছে। আশা করি ভালো কিছু হবে।’
আরও পড়ুন: আর পারছি না রাষ্ট্র: ওমর সানি
সিনেমায় ওমর সানির ভিন্ন লুক প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে পরিচালক ইকবাল বলেন, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করি সিনেমায় নতুন কিছু রাখতে। সেটি অবশ্যই দর্শকের আগ্রহ তৈরি করবে এমন কিছুই রাখি। আর অনেকদিন পর ওমর সানি বড়পর্দায় ফিরছেন, তাই তাকে এমনভাবে উপস্থাপনের পরিকল্পনা করেছি যেটি দর্শক মনে রাখবে।’
ওমর সানি প্রসঙ্গে ইকবাল আরও বলেন, ‘সানি আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। এর চেয়ে তিনি আমার কাছে বাংলাদেশি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন সুপারস্টার। তাই তার এই কামব্যাকে চমক রাখতে চেয়েছি।’
‘ডেডবডি’ সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন শ্যামল মওলা, রাশেদ মামুন অপু ও মিষ্টি জাহান প্রমুখ।
জানা গেছে, ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে সিনেমাটির শুটিং।
আরও পড়ুন: ওমর সানির অভিযোগ নিয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে: ইলিয়াস কাঞ্চন
১ বছর আগে
টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন ই-মেইল পড়তে, টেক্সট পাঠাতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ চেক করতে। সব মিলিয়ে যার পরিমাণ বছরে প্রায় ৭০০ থেকে ১৪০০ ঘন্টা। সম্প্রতি এই বিষয়টি এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছে যে মার্কিন কাইরোপ্র্যাক্টর ডিন ফিশম্যান এটিকে একটি স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে ‘টেক্সট নেক সিন্ড্রোম’- নাম দিয়েছেন।
টেক্সট নেক সিন্ড্রোম মুলত প্রচণ্ড ঘাড় ব্যথার পুনরাবৃত্তি, যা দীর্ঘ সময় ধরে মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে রাখার জন্য ঘটে থাকে। এই অবস্থাটি ‘টার্টল নেক পশ্চার’, ‘অ্যান্টেরিয়র হেড সিন্ড্রোম’ এবং ‘টেক নেক সিন্ড্রোম’ নামেও পরিচিত। এই আসুন অভিনব এই স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের কারণ
টেক্সট নেক সিন্ড্রোম মোবাইলের মাধ্যমে ম্যাসেজ পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত হলেও এটি বর্তমানের যে কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যেমন ট্যাবলেটে সম্পাদিত বিভিন্ন কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর মধ্যে আছে- ওয়েব ব্রাউজ করা, গেম খেলা বা কোন ডাটা প্রসেস করা। এ সময় স্বাভাবিক ভাবেই মাথা একটু সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে। টিভি এবং কম্পিউটারের তুলনায় স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের স্ক্রিনগুলো দেখার জন্য সাধারণত টেবিল বা হাতে কাছাকাছি নিয়ে নির্দিষ্ট কোণে মাথা বাঁকা করতে হয়।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
বর্তমানের টাচস্ক্রিন সেটগুলো কাঁধ এবং মাথাকে আরও সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে আনে। স্মার্টফোনে ওয়েব ব্রাউজিং বা ভিডিও দেখার তুলনায় ম্যাসেজ করার সময় মাথার ভঙ্গি বেশি থাকে। ম্যাসেজ করার ক্ষেত্রে বেশি সময় ধরে দুই হাতের ব্যবহার এবং আঙুলগুলো স্ক্রিনে স্পর্শ করে রাখার দরকার পড়ে। এর ফলে স্মার্টফোন ব্যবহারকারিকে নিজের কাঁধ আরও সামনের দিকে বাঁকা করে রাখতে হয়।
এছাড়া কিন্ডেলে বই পড়া, কিচেনে থালা বাসন ধোয়া, ঘর ঝাড়ু দেয়া প্রভৃতি কাজও মাথা কাত করতে বাধ্য করে। এখানে সময়টা গুরুত্ব বিষয়, কেননা, স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটগুলো সাধারণের থেকে অনেক বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা হয়। এমনকি এই দীর্ঘ সময়টাতে ব্যবহারকারিরা তাদের অবস্থানও পরিবর্তন করেন না। ফলে শরীর তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও পেশীর প্রয়োজনীয় নড়াচড়া থেকে বঞ্চিত হয়। এটি শরীরের নির্দিষ্ট অংশে রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার দরুণ নানা স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি হয়।
যখন মাথা ১৫ ডিগ্রি সামনে কাত হয়, ঘাড়ের ওপর তখন ২৭ পাউন্ড ভর চাপে, ৩০ ডিগ্রি হলে ৪০ পাউন্ড, ৪৫ ডিগ্রির বেলায় ৪৯ পাউন্ড এবং ৬০ ডিগ্রির ক্ষেত্রে চাপটা ৬০ পাউন্ডে ওঠে যায়। ঘাড়ের এই বাড়তি চাপটা বুঝার জন্য ৮ বছর বয়সী কোন বাচ্চাকে দুই থেকে চার ঘন্টা ধরে ঘাড়ে নিয়ে চলার কথা কল্পনা করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের লক্ষণ
স্মার্টফোন ব্যবহার করার সময় তাৎক্ষণিকভাবে উপরের পিঠ বা ঘাড়ে ব্যথা অনুভূত হবে। দিনের শেষ ভাগে বা রাতে ঘুমাতে যাবার সময় ঘাড়ে বা কাঁধে তীব্র ব্যথা বাড়তে থাকবে। সাধারণত প্রাথমিকভাবে কাঁধে হাল্কা ব্যথা এবং চাপের মাধ্যমে এই ব্যথা তীব্রতার দিকে এগিয়ে যায়। নিচের দিকে তাকালে বা কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় মাঝে মাঝে অথবা ক্রমাগত মাথাব্যথা হবে। ধীরে ধীরে এই ব্যথা অসহনীয় হয়ে উঠবে। কোন একটি নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায় দাড়িয়ে থাকতে সমস্যা হবে। এমনকি দাঁড়ানো অবস্থা, কোন এক দিকে ঝুঁকে পড়া বা নড়াচড়াতেও সমস্যা হবে।
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের স্বাস্থ্য ঝুঁকি
দীর্ঘক্ষণ সামনের দিকে ঝুঁকে থাকলে মেরুদণ্ড, ঘাড় ও কাঁধের পেশী এবং আনুষঙ্গিক অস্থি বন্ধনীগুলো বাঁকা হয়ে যেতে পারে। চরম পর্যায়ে ঘাড় এবং কাঁধ বরাবর পেশীগুলোর ন্যূনতম ব্যথা হাড় বা মেরুদণ্ডের ডিস্কের অবক্ষয় করতে পারে। এ অবস্থায় হাত দিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে সমস্যা হতে পারে। এমনকি কাজ ছাড়া অবস্থাতেও বাহুর ব্যথা স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। ব্যথা তীব্রতায় রূপ নিলে ঘাড় বরাবর মেরুদণ্ড বা স্নায়ু অবশ বা অসাড় হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের প্রতিকার
মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা
স্মার্টফোন সহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার সময় শরীরের ভঙ্গিমা এবং ব্যবহারকারির ডিভাইস ব্যবহারের আচরণকে সামঞ্জস্য করার মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ঘাড়কে মেরুদণ্ড বরাবর যতটা সম্ভব সমান রাখার চেষ্টা করা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে কাঁধ যেন কুঁচকে না যায় এবং পিঠ বাঁকা না থাকে।
দীর্ঘ সময়ের জন্য ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পরপর শরীরের ভঙ্গিমা পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে। ম্যাসেজ করা বা অন্য যে কোন কাজ করা হোক না কেন, চেষ্টা করতে হবে মোবাইল ডিভাইসটিকে একদম চোখের সঙ্গে একই স্তরে ধরে রাখা। একটু নিচে বা ওপরে কোন কোণ করে নয়; একদম ঘাড় সোজা রেখে চোখের দৃষ্টি বরাবর। কিছুক্ষণ পরপর চিবুকটি সোজা রেখে কাঁধের ব্লেডগুলো পিছনের দিকে বৃত্তকারে ঘোরোনো অনুশীলনটা করা যেতে পারে।
প্রতি ১৫ মিনিট পর মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারে বিরতি নিতে হবে। শরীরের ভঙ্গিমা এমনকি পুরো অবস্থান পরিবর্তন করা যেতে পারে। বাচ্চাদের জন্য ডিভাইসটিকে হাতে বা মেঝেতে না রেখে টেবিলে বাচ্চাদের চোখের সামনাসামনি রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কোথায় ভালো পরিবেশে সাঁতার শেখা যায়
সঠিক শয়ন পদ্ধতি
মেঝে বা শক্ত পৃষ্ঠে পিঠ দিয়ে শুতে হবে। ঘাড়ের নিচে একটি পরিপাটি করে ভাঁজ করা তোয়ালে রাখতে হবে, যাতে করে ঘাড় একটি আরামদায়ক মঞ্চ পায় আর চিবুকটা একটু উঁচু হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বালিশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য শয়নের পদ্ধতিটি আরামদায়ক হতে হয় তাই এখানে অবশ্যই আরামপ্রদ অবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শরীরের ভঙ্গিমাকে সুস্থ ঘুমের অনুকূলে রাখতে বালিশের বিকল্প নেই।
হাঁটুর কাছে পা বাঁকা করে রাখতে হবে এবং শরীরের পাশে দুই হাত সমান ভাবে ফেলে রাখতে হবে। উপুর হয়ে শোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যে কোন এক পাশ বা চিত হয়ে ঘুমানো প্রায়শই পিঠের ব্যথা উপশমের জন্য সহায়ক। যে কোন এক পাশ ফিরে ঘুমানোর সময় পায়ের মাঝে কোল বালিশ রাখা যেতে পারে। চিত হয়ে ঘুমানোর ক্ষেত্রে হাঁটুর নিচে বালিশ রাখা যেতে পারে।
সঠিক ভাবে বসার ভঙ্গিমা
দুই পা সমান ভাবে পাশাপাশি মেঝেতে রাখতে হবে। পা মেঝে অব্দি না পৌঁছলে সমান ভাবে পাশাপাশি মুক্ত ভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। তবে গোড়ালি সহ পায়ের পাতা হাঁটু থেকে একটু সামনে রাখা উত্তম। কিন্তু কোন ভাবেই পায়ের ওপর পা তুলে, বা ক্রস আকৃতিতে রাখা যাবে না। হাঁটুর পশ্চাৎ ভাগ চেয়ারের সঙ্গে একদম ঠেস দিয়ে রাখা যাবে না। হাঁটুর পিছন এবং আসনের মধ্যে অল্প একটু ফাঁক রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
হাঁটু এবং কোমড়ের মাঝে ৯০ ডিগ্রী কোণ রাখা একটি স্বাস্থ্যকর বসার উপায়।
পিঠের নিচ থেকে শুরু করে মধ্য ভাগ পর্যন্ত চেয়ারের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হবে। মাঝে ফাঁক রেখে হেলান দিয়ে থাকা যাবে না। কাঁধকে শিথিল রাখতে হবে এবং দুই হাতের কনুই থেকে হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত অংশকে মাটির সমান্তরালে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সঠিক ভাবে বসার অনুকূলে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ আসন বাছাই করা আবশ্যক। তবে দীর্ঘ সময় ধরে একই অবস্থানে বসে থাকা যাবে না।
সঠিক ভাবে দাড়ানোর ভঙ্গিমা
প্রাথমিকভাবে পায়ের আঙ্গুলের অংশের ওপর দেহের ওজন ফেলতে হবে। হাঁটু সামান্য বাঁকিয়ে রাখা ভালো। কাঁধের প্রস্থের সমান দূরত্ব রাখা উচিত দু’পায়ের মাঝে। কাঁধ পিছনে টান দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। দেহের ওজন পায়ের আঙ্গুল থেকে পেছনে হিল পর্যন্ত স্থানান্তর করতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে দাড়িয়ে থাকার ক্ষেত্রে এক পা থেকে অন্য পায়ে ভর স্থানান্তর করা উচিত।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
পরিশিষ্ট
মোবাইল ফোন নিঃসন্দেহে জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার যে কোন নেশাজাত দ্রব্য অতিরিক্ত সেবনের থেকে কম কিছু নয়। তাছাড়া এখানে মানুষ ও যন্ত্রমানবের পার্থক্য সুস্পষ্টভাবে নিরূপণ করা যায়। রোবট দীর্ঘ সময় ধরে একটি কাজ কোন সমস্যা ছাড়াই করে যেতে পারে। কিন্তু মানুষের বিরতি প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন হয় হাওয়া বদলের এবং দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও পেশীগুলো সঞ্চালনের।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় সামনের দিকে ঝুঁকে থাকার প্রবণতা ‘টেক্সট নেক সিন্ড্রোম’ বা আরো জটিল ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই কাজ ও সময় থেকেও অধিক যত্নশীল হওয়া উচিত স্বাস্থ্যের প্রতি। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে তবেই সময়গুলোকে কাজে ভরিয়ে দিয়ে ফলপ্রসূ করে তোলা যাবে।
২ বছর আগে
৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নিচ্ছেন ইলন মাস্ক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কেনার জন্য সোমবার ৪৪ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন ইলন মাস্ক।
এর আগে ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, বাক স্বাধীনতার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে টুইটারের মালিকানা ব্যক্তি মালিকানাধীন হতে হবে।
মাস্ক টুইটারের সাথে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি স্বয়ংক্রিয় ‘স্প্যাম’ অ্যাকাউন্টগুলো থেকে পরিত্রাণ এবং আস্থা বাড়াতে জনসাধারণের জন্য এর অ্যালগরিদমগুলো উন্মুক্ত করার পর নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর সাথে পরিষেবাটিকে ‘আগের চেয়ে উন্নত’ করতে চান।
৫০ বছর বয়সী মাস্ক বলেন, টুইটার হচ্ছে একটি বিতর্কের ফোরাম। আমি আশা করি, আমার সবচেয়ে কড়া সমালোচকও টুইটারে থাকবে। কারণ এটাই হচ্ছে বাক স্বাধীনতা।
দুই সপ্তাহ আগে ইলন মাস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে টুইটার কিনে নেয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকা অনুযায়ী, ইলন মাস্ক বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, যার সম্পদ প্রায় ২৭৪ বিলিয়ন ডলার।
পড়ুন: টুইটার বোর্ডে থাকছেন না ইলন মাস্ক
২ বছর আগে
ঢাকা কলেজে ঈদের ছুটি, উসকানি দিবেন না: শিক্ষামন্ত্রী
ছাত্র-ব্যবসায়ীদর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘প্রায়ই দেখি ঢাকা কলেজ ও এর আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্মচারীদের সঙ্গে ছাত্রদের বাকবিতন্ডা হয় এবং অনেক সময় তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের কয়কজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার বিষয়গুলো আমরা দেখছি।’
মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০ এপ্রিল ঈদের ছুটিতে বন্ধ হলেও ঢাকা কলেজ যেহেতু ক্লাসের পরিবেশ নেই, তাই আজ থেকেই এই কলেজে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাবে। আগামী ৫ মে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা কলেজও খুলবে।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সকাল থেকে থাকলে হয়তো পরিস্থিতি আরেকটু ভালো হতে পারতো। তবে তারাও চেষ্টা করেছেন, এখনও তারা চেষ্টা করছেন থামানোর। আমি ছাত্র-ব্যবসায়ী সকল পক্ষকে এই সিয়ামের মাসে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই।
সকলের সহযোগিতা কামনা করে মন্ত্রী বলেন, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে উসকানি দিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি খারাপ করার একটা অপচেষ্টা চলছে। আমি ব্যবসায়ী-ছাত্র-শিক্ষকসহ সকলের কাছে অনুরোধ করবো কোন প্রকার উসকানি না দিতে, কোন গুজবে কান না দিতে। রোজার দিন, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ডিজি, সচিব ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। ডিজি রাত থেকেই যুক্ত আছেন। আশা করি পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসবে। ছাত্রদের বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। এরই মধ্যে যা যা করা দরকার সরকার আলোচনার মাধ্যমে সব কিছুই করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
২ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লায় বেড়াতে গিয়ে বন্ধুদের হাতে অপহৃত, গ্রেপ্তার ৩
নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লায় বেড়াতে গিয়ে বন্ধুদের হাতে অপহরণের চারদিন পর উদ্ধার হয়েছেন রমজান হোসেন। এ ঘটনায় শুক্রবার অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গত ১১ এপ্রিল কুমিল্লার বিবির বাজার এলাকায় অপহরণের শিকার মো. রমজান হোসেন (৩৫) তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু রাকিবের বাসায় বেড়াতে আসেন। সেখানে রাকিবের বন্ধু শাহিন এবং রুবেলের সঙ্গে আগে থেকেই ভুক্তভোগী মো. রমজান হোসেনের পরিচয় ছিল। সেই সুবাধে শাহিন রমজান হোসেনকে নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা বিবির বাজারে ঘুরতে যায়। সেখানে তারা ইফতার করে, ইফতার শেষে অপহৃত মো. রমজান হোসেন (৩৫) চলে আসতে চাইলে মাদক ব্যবসায়ী মো. শাহিন ওরফে স্টার শাহিন ও তার দলের সদস্যরা তাকে বাধা দেয় এবং বলে এভাবে যাওয়া যাবে না, এখান থেকে মুক্তি পেতে হলে তোমাকে মুক্তিপণ দিতে হবে। এই বলে রমজানের হাত পা বেঁধে মারধর করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমোর মাধ্যমে ভিডিও কল দেয়। নির্যাতনের দৃশ্য তার স্ত্রীকে দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। অপহরণকারীরা অমানবিক নির্যাতন করতে থাকে এবং মুক্তিপণের টাকা না পেলে তাকে হত্যা করা হবে বলে বার বার হুমকি দিতে থাকে।
১৬ এপ্রিল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লার র্যাব-১১, সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ সাকিব হোসেন তথ্যগুলো নিশ্চিত করে বলেন, রমজান হোসেনের স্ত্রীর করা অভিযোগ তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা তৎপরতা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ১৫ এপ্রিল সকালে কুমিল্লা সদর উপজেলার বিবির বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অপহরণ চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন- কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে মো. মোতাহার হোসেন (৩০), একই উপজেলার রাজমঙ্গলপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৪১) এবং গাজীপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে মো. সায়মুন (১৯)।
আরও পড়ুন: অপহরণের পর ধর্ষণ: বরিশালে ২ যুবক গ্রেপ্তার
আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের গাজীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত রমজান হোসেনকে চারদিন পর উদ্ধার করা হয়। তখন র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা মাদক ব্যবসায়ী মো. শাহিন ওরফে স্টার শাহিন পালিয়ে যায়। সে উপজেলার রাজমঙ্গলপুরের বাসিন্দা। তার সঙ্গে রয়েছে রুবেল (৩৫), মো. জাকির (৪১)।
এর আগে স্ত্রী লিজা বেগম তার স্বামী অপহরণ হয়েছে বলে গত ১৩ এপ্রিল একটি অভিযোগ করেন।
গত ১১ এপ্রিল রমজান হোসেন নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লায় বেড়াতে আসেন। রমজান নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার একরামপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীকে ‘অপহরণ’
২ বছর আগে
২২ টি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করলো ভারত
‘জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকে সংবেদনশীল বিষয়’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ভুয়া খবর’ ছড়ানোর অভিযোগে লক্ষাধিক ভিউসহ ২২টি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করেছে ভারত সরকার।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০২১-এর অধীনে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,২২টি ইউটিউব-ভিত্তিক নিউজ চ্যানেল ছাড়াও তিনটি টুইটার অ্যাকাউন্ট, একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং একটি নিউজ ওয়েবসাইট ব্লক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো ক্ষমতাসীন জোট
ব্লক ইউটিউব চ্যানেলগুলোর ২৬০ কোটিরও বেশি দর্শক সংখ্যা ছিল। এগুলো জাতীয় নিরাপত্তা, ভারতের বৈদেশিক সম্পর্ক এবং জনশৃঙ্খলার দৃষ্টিকোণ থেকে সংবেদনশীল বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো এবং সামাজিক মিডিয়াতে সমন্বিত বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল।
২২টি ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে ১৮টি ভারতীয় এবং চারটি পাকিস্তানভিত্তিক বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিবৃতি অনুসারে, এই চ্যানেলগুলো ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মতো বিভিন্ন বিষয়ে ভুয়া খবর পোস্ট করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। এছাড়াও চ্যানেলগুলোতে কিছু ভারত-বিরোধী বিষয়ও ছিল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে আগাম নির্বাচন নিয়ে শুনানি
ব্লক করা ভারতীয় ইউটিউব চ্যানেলগুলো নিউজ অ্যাঙ্করদের ছবিসহ কিছু টিভি নিউজ চ্যানেলের টেমপ্লেট এবং লোগো ব্যবহার করছিল, যাতে দর্শকদের সহজে বিভ্রান্ত করা যায় ভুয়া সংবাদটি সত্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কিছু ক্ষেত্রে, এটাও দেখা গেছে ভারত-বিরোধী ভুয়া খবর পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।
এর আগে জানুয়ারিতেও ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর জন্য’ ১৩০ কোটিরও বেশি ভিউসহ ৩৫টি পাকিস্তান-সমর্থিত ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে ভারত সরকার।
২ বছর আগে
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিয়ালের মাংস বিক্রি, ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিয়ালের মাংস বিক্রি করার অভিযোগে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মুরাদনগর উপজেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিন বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার সকালে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, কাজিয়াতল এলাকার মো. আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম, মো. শফিক ইসলাম।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৩ বন্ধুর আমৃত্যু কারাদণ্ড
বন কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল হাছান মার্কেটে শিয়াল জবাই করে পাঁচশ টাকা কেজি ধরে মাংস বিক্রি করেন স্থানীয় একদল যুবক। আর এই মাংসের ক্রেতা পাওয়ার জন্য ফেসবুকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে যোগাযোগও করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ক্রেতা পাওয়ার জন্য শফিকুল ইসলাম নামে একজন তার ফেসবুক আইডিতে শিয়ালের মাংস কাটার ছবিসহ মোবাইল নম্বর দিয়েছেন। উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিয়ালের মাংস ডিপ ফ্রিজে রাখা আছে। কাজিয়াতল হাছান মার্কেটে এসে ফোন দিলে আপনাকে সিরিভ করা হবে।
তিনি জানান, পরে আমরা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ফাঁদ পেতে কিংবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা শিয়াল ধরে জবাই করে। যা আইনবিরোধী কাজ। নানা রোগের ওষুধ হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে জবেহ করা শিয়ালের মাংস পাঁচশ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ বলেন, ফেসবুকে বন্যপ্রাণী জবাই করে মাংস বিক্রি করার বেশ কয়েকটি ছবি আমরা পেয়েছি। এটি আইনত অপরাধদণ্ডনীয় অপরাধ, তাই মামলা করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গাঁজা ও ফেনসিডিল জব্দ, আটক ৩
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাশিম বলেন, ঘটনাটি সঠিক; আমরা তদন্ত করছি। এখনও কোন আসামি ধরা পড়েনি। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
২ বছর আগে
ফরিদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও ভাইরাল
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নাম নলিনী রঞ্জন বিশ্বাস। তার গ্রামের বাড়ি নগরকান্দার পুরাপাড়ায়।
জানা যায়, গতকাল বুধবার (৯ মার্চ) সোনালী ব্যাংকের ফরিদপুরের নগরকান্দা শাখায় অডিট চলছিল। অডিট শেষে রাত ১০ টার দিকে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তার সহকর্মীদের অনুরোধে নলিনী রঞ্জন নাচ করেন। এসময় এক কর্মকর্তা সেই নাচের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। পরে মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। পরে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া করেন মানুষ।
আরও পড়ুন: খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
এ ব্যাপারে একাধিক ব্যক্তি জানান, ফরিদপুরের নগরকান্দা সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের গ্রাহকদের বসিয়ে রেখে আনন্দ বিনোদন করা দুঃখজনক। কাজে ফাঁকি দিয়ে ব্যাংক কর্মকতার ড্যান্স করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তবে এব্যাপারে নাচ করা নলিনী রঞ্জন বিশ্বাস গ্রাহক বসিয়ে রেখে নৃত্য করার বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা। আমি নৃত্যের মাস্টার হিসেবে একসময় কাজ করতাম। এটা আমাদের এক সহকর্মী জানতে পেরে সে আমাকে ডেকে নিয়ে একটু শ্রান্তি বিনোদনের অনুরোধ জানান। পরে আমি নৃত্য করি। তবে, সেটা কোনো অফিস কিংবা গ্রাহক সেবার সময়ে নয়। কারণ, রাত ১০ টায় নৃত্য করেছি ; সেটা গ্রাহক সেবার সময় হতে পারেনা।
এব্যাপারে জানতে সোনালী ব্যাংকের নগরকান্দা শাখার ব্যবস্থাপকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
২ বছর আগে