বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্য দেবে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, দক্ষতার উন্নয়ন ও বেসরকারি খাতে সমর্থন ও বিনিয়োগ করার উপর। রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা অস্ট্রেলিয়ার অগ্রাধিকার থাকবে।
অস্ট্রেলিয়া জোর দেবে যাদের বিশেষ সুরক্ষা দরকার, বিশেষ করে নারী এবং মেয়ে শিশুরা এবং যারা শারীরিক ও মানসিক- বিশেষভাবে চ্যালেঞ্জড।
অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ সরকারের সাথে একসাথে কাজ করবে নিশ্চিত করতে যে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত প্রোগ্রামগুলো মূল সরকারি উদ্যোগের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন অগ্রাধিকার, যা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, তা সমর্থন জানাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অর্থমন্ত্রলায়য়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এর সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে এবং কোভিড-১৯ থেকে পুনরুদ্ধার কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি অস্ট্রেলিয়ার কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।’
কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা, অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া পুনরুদ্ধারের জন্য অংশীদারিত্ব উন্নয়ন কৌশলের অংশ যা কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে অস্ট্রেলিয়া অংশীদারদের সাথে কীভাবে কাজ করবে তার একটি রূপরেখা।
অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের আগ্রহ হচ্ছে একটি সুরক্ষিত, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্ত ভারত মহাসাগর অঞ্চল। বাংলাদেশের সাথে জনগণ থেকে জনগণ এবং বাণিজ্য সম্পর্কের অস্ট্রেলিয়া প্রশংসা করে। অস্ট্রেলিয়া কোভিড-১৯ থেকে পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশকে সমর্থন জানানো অব্যাহত রাখবে।