বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার আহ্বানের মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে শনিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ পালিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘এই সংবিধান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান এবং এই পবিত্র সংবিধানকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।’
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাঙালি জাতির অধিকারের দলিল, বহুল আকাঙ্খিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান বাংলাদেশের গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় এবং একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর এটি কার্যকর হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম ও কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) আরিফা রহমান রুমা।
পরে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান: মানবাধিকার ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিলটন এবং আলোচনায় অংশ নেন মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন।
আবদুল হাই মিলটন তার প্রবন্ধে সংবিধান প্রণয়নের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘যেহেতু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণই হচ্ছে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, সেহেতু জনগণের আকাঙ্খার সর্বোচ্চ দলিল সংবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা সম্পর্কে মার্কিন সিনেটরদের অবহিত করলেন রাষ্ট্রদূত ইমরান