বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউজান আল-রাবিয়াহ বলেছেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরব সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে অনেক সুযোগ রয়েছে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি একথা বলেন।
সৌদির মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক সুযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সৌদির সমর্থন থাকবে: সৌদি মন্ত্রী
সম্পর্কের ক্ষেত্রে তারা কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সৌদির মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন ‘আমরা অনেক সুযোগ দেখছি। আমরা আমাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চাই। আকাশই সীমা এবং দুই দেশের বন্ধন ইতোমধ্যে খুব শক্তিশালী।
সৌদির মন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও দু'দেশের মধ্যে ভালো সহযোগিতা রয়েছে এবং সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী শিগগিরই বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ সফর করবেন।’
ড. তৌফিক বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখে তিনি গভীরভাবে অভিভূত এবং তার দেশ আরও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং তার দেশ বাংলাদেশের ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে জানে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যে উন্নতি করছে তাতে আমি সত্যিই মুগ্ধ।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আরও উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য সৌদি আরবের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
সৌদির মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে আশ্রয় দেওয়া প্রবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি। তাদের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ।
তিনি বলেন, আমরা এখানে এসেছি বাংলাদেশিদের মক্কা ও মদিনায় আসার সুযোগ করে দিতে। আমরা অনেক পরিবর্তন এনেছি। বাংলাদেশিরা যাতে সৌদি আরবের যেকোনো শহরে যেতে পারেন, সেজন্য ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এমন উদ্যোগ রয়েছে যা বাংলাদেশি নাগরিকদের একটি সাইট থেকে সবকিছু বুক করার অনুমতি দেবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, কৌশলগত ইস্যুতে বাংলাদেশ সবসময় সৌদি আরবের পাশে রয়েছে। আমরা অনেক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করছি।
তিনি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় কিছু উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, যা প্রায় ঝামেলামুক্ত এবং প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশিকে স্বাগত জানানোর জন্য বাংলাদেশ সৌদি আরবের প্রতিও কৃতজ্ঞ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা আশা করি, কঠোর পরিশ্রমী মানবসম্পদ পাঠানোর মাধ্যমে আমরা সৌদি আরবকে সহায়তা অব্যাহত রাখতে পারব।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা ব্যবসায়িক সহযোগিতা এবং সৌদি আরবের কাছে বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে তুলে ধরার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক 'ঠিক দিকেই এগোচ্ছে': ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী