প্রতিবছর ভবন ও স্থাপত্য শিল্প শৈলীর স্বীকৃতি হিসেবে এ ডেনিশ আন্তর্জাতিক পুরস্কারটি প্রদান করা হয়ে থাকে, খবর ওয়ালপেপার ডটকম।
আনন্দালয়ের নিচতলায় প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি থেরাপি কেন্দ্র এবং ওপর তলায় স্থানীয় নারীদের জন্য বস্ত্র উৎপাদনের কারখানা রয়েছে। ভবনটি স্থানীয় প্রাচীন ভবন তৈরির কৌশল ব্যবহার করে কাদা মাটি ও বাঁশ দিয়ে তৈরি।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর আর্থেন আর্কিটেকচার, বিল্ডিং কালচার্স ও সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান আনা হেরিংগার বাংলাদেশে জীবনের কিছু সময় অতিবাহিত করেন।
আনন্দালয় নির্মাণের স্থাপত্য শৈলী নিয়ে বলতে গিয়ে হেরিংগার বলেন, এর মূল অনুপ্রেরণা হলো স্থাপত্য শিল্পকে জীবনের উন্নতির জন্য কাজে লাগানো। ভবনটি নির্মাণে মূলত প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।
আনা বলেন, ‘আমার কাজের পেছনে মূল প্রেরণা হিসেবে সংস্কৃতি ও নিজস্ব আত্মবিশ্বাসকে শক্তিশালীকরণ কাজ করেছে। স্থানীয়দের আর্থিক সামর্থ্য ও পরিবেশগত ভারসাম্যকে উৎসাহিত করার একটি মাধ্যম হিসেবে এ স্থাপত্য শৈলীর অন্বেষণ ও ব্যবহার করা হয়েছে। আনন্দময় জীবনযাত্রা একটি সৃজনশীল ও সক্রিয় প্রক্রিয়া এবং আমি আমাদের সমাজ ও নির্মিত পরিবেশের টেকসই বিকাশে ভীষণ আগ্রহী।’
স্থানীয় ঐতিহ্য ও কারুশিল্পের সম্মান করে এ প্রকল্পটিতে শুধু স্থানীয় উপকরণ, নির্মাণের শৈলী এবং কর্মশক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর মূল বিবেচ্য ছিল এর জলবায়ু-বান্ধব নকশা ও সব স্তরের স্থায়িত্ব বিচার প্রক্রিয়া।