ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা তাদের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
আসন বরাদ্দে অনিয়ম, জরুরি সুবিধার অভাব, ক্যান্টিনে নিম্নমানের খাবার, শিক্ষার্থী হয়রানি, অপর্যাপ্ত পানির ফিল্টার ও রান্নার সুবিধার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভিসির বাসভবনের সামনে জড়ো হন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্ট ও ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নাজমুন নাহারের পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় তারা বলতে থাকেন যে তিনি শিক্ষার্থীদের পাত্তা দেন না এবং সবসময় তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলের এই প্রভোস্ট নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। জরুরি হলেও কোনো নথিতে হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর পেতে আমাদের ন্যূনতম ১৫ দিন সময় লাগে। তিনি প্রতি বছর প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আসন বরাদ্দের জন্য চার হাজার টাকা নেন, যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে এটি অনুমোদিত নয়।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ও অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ১১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ
একপর্যায়ে চার আন্দোলনরত শিক্ষার্থী তাদের ক্ষোভের কথা জানাতে ভিসির বাসায় যান।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাদের কষ্ট ও সমস্যা আমাদেরকে জানিয়েছে। তাদের কিছু বৈধ দাবি ও বিষয়বস্তু রয়েছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
বৈঠক শেষে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে শিক্ষার্থীরা তাদের হলে ফিরে যান।
তবে প্রভোস্ট নাজমুন নাহারের সঙ্গে কথা বলার জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে হামলা: বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন