বাংলাদেশ ও ব্রাজিল দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্রাজিলে সরকারি সফরে থাকা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্লোস আল্বের্তো ফ্রাঙ্কো ফ্রান্সা এই চুক্তিতে সাক্ষর করেন।
এফবিসিসিয়াই’র সভাপতি জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি ব্যবসায়িক দল এবং বাংলাদেশ-ব্রাজিল চেম্বারের প্রতিনিধিরা প্রতিমন্ত্রী সফরসঙ্গী হয়েছেন।
সোমবার, প্রতিমন্ত্রী ব্রাসিলিয়ার রিও ব্র্যাঙ্কো ইনস্টিটিউটে (ব্রাজিল ফরেন সার্ভিসেস একাডেমি) প্রশিক্ষণার্থী কূটনীতিকদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থী ছাড়াও ব্রাজিল সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, ব্রাসিলিয়া অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক কোরের সদস্য, ব্রাজিলীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা এবং ব্রাজিলের পররাষ্ট্র বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র এফইউএনএজি’র (আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষণা ইনস্টিটিউট) সদস্যসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কর্মী পাঠনোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও গ্রিসের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
ইনস্টিটিউট রিও ব্র্যাঙ্কো হল ব্রাজিলিয়ান এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশের কূটনীতিকদের জন্য একটি ‘ইস্টাট অফ দ্য আর্ট’ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
স্বাধীনতা সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কীভাবে জাতিকে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার এবং পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তা তুলে ধরেন।
তিনি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তর অর্থনৈতিক সাফল্যে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের ভূমিকা বিশ্লেষণ করেন।
প্ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাম্প্রতীক অভুতপূর্ব আর্থসামাজিক উন্নয়ন বর্ণনা করেন। রিও ব্রাঙ্কো ইনস্টিটিউটের নবীন প্রশিক্ষণার্থীদের সরকারের স্থিতিশীলতা, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ এবং নারীর ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ আর্থসামাজিক উন্নয়নে কীভাবে ভূমিকা রেখেছে তা ব্যাখ্যা করেন। প্রতিমন্ত্রীর বক্তৃতা নবীন প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে যে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয় তা প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতীয়মান হয়।
প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং রিও ব্র্যাঙ্কো ইনস্টিটিউট (ব্রাজিল ফরেন সার্ভিস একাডেমি)- এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন। ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং রাষ্ট্রদূত গ্লিভানিয়া মারিয়া অলিভেইরা, পরিচালক- রিও ব্র্যাঙ্কো- এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
ইন্টারেক্টিভ সেশনের পর, প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং ইনস্টিটিউট রিও ব্র্যাঙ্কো (ব্রাজিল ফরেন সার্ভিস একাডেমি), বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা এবং রাষ্ট্রদূত গ্লিভানিয়া মারিয়া অলিভেইরা, রিওর পরিচালকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন। ব্র্যাঙ্কো তাদের নিজেদের পক্ষ থেকে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে।