বাগেরহাটে গত ২৪ ঘন্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা ৫০ শতাংশ পৌঁছেছে। রবিবার ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এনিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা সাত হাজার ১২৫ জন। আর এপর্যন্ত মারা গেছেন ১৪৪ জন।
জানা গেছে, শুক্রবার বাগেরহাটে পরীক্ষা বিবেচনা করোনা শনাক্তের হার ছিল ২০ শতাংশ এবং বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। দুই দিনের ব্যবধানে বাগেরহাটে করোনা শনাক্তের হার দ্বিগুনের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, বাগেরহাটে করোনার টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বাগেরহাট সদর হাসপতাল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে বুথগুলোতে ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। জেলার ৯টি উপজেলায় ২৪টি বুথে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, এপর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় ১১ লাখ ২২ হাজার ২৬৯ জনকে প্রথম ডোজ, সাত লাখ ৩০ হাজার ৬২৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ২০ হাজার ৯০৫ জনকে সুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের এক লাখ ৫৩ হাজার ৩৬১ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৪৬ হাজার ৪৩৭ জনকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
তবে, এখনও এখানকার মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হলেও সেই নির্দেশনা মানারও বালাই নেই। মাস্ক না পরার কারণ হিসেবে মানুষের অজুহাতের শেষ নেই। রবিবার সকালে বাগেরহাট শহরের সাধনার মোড়, মেইন রোড, কাঁচাবাজার,মাছ বাজার, তেলপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে হাট-বাজারে মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় শনাক্ত এক হাজার ছাড়াল
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান,মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। মাস্ক না পড়লে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাগেরহাটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, বাগেরহাটে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা ৫০ শতাংশ। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে হলে সবাইকেই মাস্ক পরতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সংক্রমন বাড়তে থাকায় বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল এবং ৮টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে ভ্যাকসিন কার্যক্রম।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান আরও জানান, বাগেরহাটে এপর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে শতকরা ৬৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৪১ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে এক দশমিক ১৮ শতাংশ। এছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ১১২ দশমিক ২৩ শতাংশকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ