গ্রেপ্তার দুজন হলেন- বাগেরহাট শহরের খারদ্দার এলাকার লিয়াকত খানের ছেলে মিলন খান (৩৯) এবং হাড়িখালী এলাকার শেখ সরোয়ার হোসেনের ছেলে মাসুম বিল্লা (৪৫)।
হামলার শিকার ডা. শেখ ইমরান মোহাম্মদ বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার।
জানা গেছে, রবিবার রাত ৮টায় দুজন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই চিকিৎসকের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা ওই চিকিৎসককে চর-থাপ্পড় এবং লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়। ঠেকাতে এলে তারা হাসপাতালের স্টাফদেরও মারধর করে। খবর পেয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. জি কে এম শামছুজ্জামান এবং থানা পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যান।
হামলার শিকার ডা. শেখ ইমরান বলেন, ‘হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে দাঁড়িয়ে মেডিকেল অ্যাসিট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের একজন ইন্টার্নি চিকিৎসকের সাথে কথা বলছিলাম। এসময় দুই ব্যক্তি আমাদের সামনে দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে এবং কারণ ছাড়াই আমাকে উদ্দেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে চর-থাপ্পড় ও লাথি মেরে আমাকে মেঝেতে ফেলে দেয়।’
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাতাব উদ্দিন জানান, সরকারি কাজে বাধা এবং মারধর করার অভিযোগে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শেখ ইমরান মোহাম্মদ বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই রাতেই হামলাকারী মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।