অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অর্থনীতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ক্রমবিকাশ বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে এবং এটা বৈদশিক বিনিয়োগের প্রসার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ‘বৈদশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে যা দেশের বৃহৎ অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।’
বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তব্যে তিনি বলেন, উন্নতির ক্রমবিকাশ বিশ্বে দেশের বিশ্বাসযোগ্যতার হার বাড়িয়েছে যার ফলে বাংলাদেশ বৈশ্বিক মুদ্রার ক্ষেত্রে কম সুদে ঋণ নিতে পারবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ হিসবে বাংলাদেশ বর্তমানে অনেক আন্তর্জাতিক সুবিধা ভোগ করছে। এর মধ্যে রয়েছে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ভতুর্কি হ্রাস, বৈশ্বিক ঋণ এবং অনুদানের ক্ষেত্রে শর্ত হ্রাস ইত্যাদি।
তিনি বলেন, এই ক্রমবিকাশ বৈশ্বিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করেছে যার ফলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষ মানবসম্পদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বৃদ্ধি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে উপযুক্ত জায়গা তৈরি করে নিতে সাহায্য করবে।
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেসব অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সরকার ইউরোপীয় দেশগুলোতে জিএসপি সুবিধা কার্যকর করতে কাজ করে যাচ্ছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনীতিক এলাকা তৈরি, প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য বিভিন্ন হাইটেক পার্ক, পদ্মা সেতুর মতো বিভিন্ন প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।