ঋণ
২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে ১ বিলিয়ন ইউরো ঋণ নেবে মরক্কো
মরক্কোকে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এএফডিবি)। এছাড়া ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের আগে দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়নের জন্য আরও ৬৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) মরক্কোর রাজধানী রাবাতে এএফডিবির আফ্রিকা ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম চলাকালে এই ঋণচুক্তি চূড়ান্ত হয়।
পরে এক বিবৃতিতে এএফডিবি জানায়, অনুমোদিত ঋণ মরোক্কোর অর্থনৈতিক শাসন ও পানি সরবরাহ জোরদার এবং নাদোর শহরের পশ্চিমে অবস্থিত তাঞ্জের মেড বন্দরে একটি শিল্পাঞ্চল স্থাপনে সহায়তা করবে।
এছাড়া, ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আগে মরক্কোর রেল ও বিমানবন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ৬৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের সভাপতি আকিনভুমি আদেসিনা।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখাননৌচের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আদেসিনা বলেন, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনে মরক্কোকে সহায়তা করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মরক্কোয় এএফডিবির ৩.৬ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নে ইতোমধ্যে ৩৭টি প্রকল্পের কাজ চলছে বলেও এ সময় জানান আদেসিনা।
২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশগুলোর একটি আফ্রিকার দেশ মরক্কো। স্পেন ও পর্তুগালের সঙ্গে যৌথভাবে ওই বিশ্বকাপ আয়োজন করবে দেশটি।
১ সপ্তাহ আগে
ঋণ দেওয়ার সময় কঠোর যাচাই-বাছাই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
অতীতের ভুল এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঋণ দেওয়ার আগে ঋণের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করতে ব্যাংক মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'অতীতের মতো যাতে কোনো বিচ্যুতি না হয়, সেজন্য বর্তমান পরিস্থিতিতে যথাযথ যাচাই-বাছাই করে ঋণ অনুমোদনের জন্য আমি তাদের (বিএবি) অনুরোধ করেছি।’
আরও পড়ুন: ৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হস্তান্তর স্থগিত রাখতে এনবিআরের নির্দেশ
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ঋণদানে ব্যাংকগুলোর অগ্রাধিকার দিতে হবে, বিশেষ করে আবাসন, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) জন্য, যারা প্রায়ই ঋণ প্রাপ্তিতে সমস্যার সম্মুখীন হয়।
ব্যাংকিং কার্যক্রমে শুদ্ধাচার বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বিএবি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আপনাদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন।’
সাক্ষাৎকালে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বিএবি প্রতিনিধিদল ব্যাংকিং খাতের চলমান চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্য সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেন। ড. সালেহউদ্দিন স্বীকার করেন, এই খাতটি বর্তমানে ঋণ বিতরণ সমস্যা এবং তারল্য সংকটে ভুগছে।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমরা কথা বলব।’
ভবিষ্যতে ব্যাংকিং খাতের যেকোনো সংস্কার উদ্যোগে তাদের মতামত বিবেচনার অনুরোধ জানান বিএবি নেতারা। জবাবে ড. সালেহউদ্দিন নীতি সংস্কারে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার সরকারের ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, 'আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তা করব।’
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংক থেকে ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাইল জীবন বীমা
২ মাস আগে
ইসলামী ব্যাংকের ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়েছে এস আলম গ্রুপ: চেয়ারম্যান
ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি এককভাবে নিয়েছে এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো, যা আদায় করাই ব্যাংকের জন্য চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক শেষে আল মাসুদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে এস আলম গ্রুপ এককভাবে নিয়েছে অর্ধেকের বেশি বা সাড়ে ৮৭ হাজার কোটি টাকা।
তবে এটি চূড়ান্ত হিসাব নয়, পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্রুপটি সম্পদের অবমূল্যায়ন করেছে এবং ঋণ নিয়েছে। ইতোমধ্যে তার সম্পদের পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এছাড়াও, ঋণের বিপরীতে জামানত আওতাভুক্ত হবে না। তাই জামানত বহির্ভূত সম্পদের সন্ধানে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, নতুন বোর্ড যখন দায়িত্ব নেয় তখন ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা কম ছিল। এটি প্রতিদিনই কমছে।
মাসুদ উল্লেখ করেন, 'আজ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত তা কমে ২ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। আশা করছি এ বছরের মধ্যেই ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসবে। আজকের পর অনেক গ্রাহকের টাকা উত্তোলনের সমস্যা হবে না। কারণ উত্তোলন গত সপ্তাহে জমা পড়া অর্থের চেয়ে কম।’
এস আলমকে সহযোগিতা করা বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা এখনই কর্মকর্তাদের সরাতে চাই না। কারণ আপনি যদি এখন নিচে আঘাত করেন তবে সবকিছু ভেঙে পড়বে। উপরের কিছু ইতোমধ্যে অপসারণ করা হচ্ছে। আস্তে আস্তে সব সরিয়ে ফেলা হবে। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংককে ঘুরে দাঁড়াতে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই রোডম্যাপটি তিনটি পর্যায়ে করা হয়- প্রথমে নতুন বোর্ডের শুরু থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া। দ্বিতীয়ত, ২০২৫-২৬ সালকে পরিবর্তনের বছর (টার্নঅ্যারাউন্ড) হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত, ২০২৭-২৯ সাল হবে এগিয়ে যাওয়ার(লিপ ইয়ার) বছর।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি ওবায়েদ উল্লাহ
৩ মাস আগে
শি-হাসিনার বৈঠক: বাংলাদেশকে অনুদান ও ঋণ সহায়তা দেবে চীন
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, বাংলাদেশকে চারটি ক্ষেত্রে- অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণ সহায়তা দেবে চীন।
তিনি বলেন, এজন্য চীনের একটি টেকনিক্যাল কমিটি বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে খুব শিগগিরই দেশটিতে যাবে।
বুধবার(১০ জুলাই) বিকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শি জিনপিং এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানিয়ে বলেন, বৈঠকটি 'ফলপ্রসূ' ও 'অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে' অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ করতে চায় চীন।
বাংলাদেশ ও চীন তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে শি 'কৌশলগত ও গভীর সম্পর্ককে দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
শেখ হাসিনা গত কয়েক দশকে চীনের অভূতপূর্ব উন্নয়নকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সংক্ষিপ্ত হয়নি, কর্মসূচি অপরিবর্তিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যু উল্লেখ করার আগে শি বলেন, 'আমি জানি আপনারা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। এটি আপনার জন্য একটি চলমান সমস্যা। আমরা এটি সমাধানে আপনাকে সহায়তা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে শি বলেন, প্রয়োজনে তারা মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে এ সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোহাম্মদ নাইমুল ইসলাম খান প্রেস ব্রিফিংয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা চীনা প্রধানমন্ত্রীর: হাছান মাহমুদ
৫ মাস আগে
ঋণের সুদের হার কমাতে এআইআইবির প্রতি শেখ হাসিনার আহ্বান
এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতি বাংলাদেশের ঋণের সুদের হার আরও কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বেইজিংভিত্তিক এআইআইবির প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণ, নদী খনন ও জলবায়ু খাতে অর্থায়ন বিশেষ করে দেশের উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু সহিষ্ণু আবাসন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই স্পেন-ব্রাজিল সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে এআইআইবি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও ঋণদাতা এআইআইবি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ঋণের সুদ আরও কমানোর জন্য এআইআইবিকে অনুরোধ করেছেন।’
জবাবে এআইআইবির কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশ এআইআইবির সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে অন্যতম। সুদের হারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ব্যাংকটি।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে বিশেষ ছাড় দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে বৃহস্পতিবার ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘আইএমএফ ছাড়াও আমরা কোরিয়া, আইবিআরডি, আইডিবি ইত্যাদি অন্যান্য উৎস থেকেও প্রায় ৯০ কোটি ডলার পেয়েছি। ফলে মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারেরও বেশি। চূড়ান্ত পরিমাণ শুক্রবার জানা যাবে।’
এর আগে ২৪ জুন আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয়।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি ঋণ প্যাকেজের প্রথম কিস্তি অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার গ্রহণ করে। আইএমএফের ঋণের পুরো অর্থ ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে ৩ বছরে ৭ কিস্তিতে বাংলাদেশকে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার জুন মাসেই পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
৫ মাস আগে
ঋণ পুনঃতফসিল মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে তুলছে: ড. ফরাসউদ্দিন
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্রমাগত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, ঋণ পুনঃতফসিলের অব্যাহত নিয়ম এবং তারল্য ঘাটতি মেটাতে মুদ্রা ছাপার ওপর সরকারের নির্ভরশীলতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।
বৃহস্পতিবার(২ মে) পল্টনে অনুষ্ঠিত 'কনভারসেশন উইথ দ্য ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম'-এ ড. ফরাসউদ্দিন পুনঃতফসিলকৃত ঋণে তারল্য আটকে থাকার ক্ষতিকর নিয়মের ওপর জোর দেন, যা অর্থ সঞ্চালনকে সমর্থন করতে ব্যর্থ হয়।
ড. ফরাসউদ্দিনের মতে, এই নিয়মের ফলে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
সরাসরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতি থেকে মুক্তি পেতে এটি বন্ধ করা উচিত।’
ড. ফরাসউদ্দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিবিধানের দুর্বলতার সমালোচনা করেন এবং অর্থ পাচারের বিষয়ে সরকার ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যাকে তিনি ‘দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর’ বলে বর্ণনা করেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় কিস্তির ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পেতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর আইএমএফর
মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় বর্তমান কৌশলের অকার্যকারিতা সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করে বলেন, অন্যান্য দেশের বিপরীতে বাংলাদেশ প্রায় ১০ মাস ধরে মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি নিয়ন্ত্রণ করতে লড়াই করছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব দেশেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কিন্তু আমরা পারিনি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের তদারকির পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে।’ তিনি পরোক্ষ তদারকি পদ্ধতির উপর নির্ভরতার পরিবর্তে আরও সরাসরি তদারকির পক্ষে জোর দেন।
সামাজিক বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে ড. ফরাসউদ্দিন পুঁজিবাদী অর্থনীতির বিকাশ এবং উদারতা হ্রাস ও ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের সঙ্গে এর পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবধান কমাতে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উভয় পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
ব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়ে, ড. ফরাসউদ্দিন জোর দেন যে এই জাতীয় সিদ্ধান্তগুলো সর্বসম্মতিক্রমে হওয়া উচিত বরং জোর করে নয়। যা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত অনুশীলনের প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন: আইসিএমএবির প্রাক-বাজেট গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, বিডিবিএল, বেসিক ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) একীভূত করার সিদ্ধান্ত অপ্রয়োজনীয় ছিল, কারণ এসব ব্যাংক বিশেষ প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
খেলাপি ঋণ এবং স্বল্পমেয়াদী আমানতের উচ্চ পরিমাণের কারণে ব্যাংকিং সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বিভিন্ন মাত্রার ঋণখেলাপিদের প্রতি অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, 'খেলাপিরা যদি অনেক বড় হয়ে যায়, তাহলে সেটি একটি সমস্যা। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ঋণ আদায় করতে হবে।’
ড. ফরাসউদ্দিন তার সমাপনী বক্তব্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির বিষয়টি তুলে ধরেন এবং ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য অসাধু খাদ্য কর্মকর্তা ও মিল মালিকদের দায়ী করেন। দেশে স্বস্তি আনতে সরকারি গুদামগুলোতে খাদ্য মজুদ বাড়াতে সরকারকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধা এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের মন্তব্যও রয়েছে যা এসব গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়ের আলোচনাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে ডিইউজে-ডিআরইউ ও টিআইবি
৭ মাস আগে
ঋণ করে ওমানে গিয়েছিলেন অগ্নিকাণ্ডে নিহত হোসেন
আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে এনজিও থেকে ঋণ এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে ওমানে যান হোসেন মিয়াজী। আগুন নিভিয়ে দিল সব স্বপ্ন। চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
হোসেন মিয়াজী ওমানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর বুরাইমির একটি সোফা কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সোমবার (১১ মার্চ) ভোরে ওমানের ওই কারখানায় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে লাগা আগুনে তার মৃত্যু হয়।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিজমেহার গ্রামের যুগী বাড়ির আব্দুস সালামের একমাত্র ছেলে তিনি।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসচালক নিহত
একমাত্র পুত্রসন্তান ও পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎসকে হারিয়ে নির্বাক বাবা আব্দুস সালাম এবং মা নুরজাহানের কান্না থামছেই না। তারা কেবলই বিলাপ করছেন ও র্মূছা যাচ্ছেন।
স্বজনরা জানান, পরিবারের স্বচ্ছলতার আশায় আত্মীয়-স্বজন ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ২০১৯ সালে বিদেশ পাঠানো হয় তাকে। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ঋণের দায় কাটিয়ে এখনো উঠতে পারেনি পরিবারটি। এমন পরিস্থিতিতে পুত্রের মৃত্যু!
হোসেনের ছোট বোন মরিয়ম আক্তার জানান, নিজের ভাইয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার শ্বশুর বাড়ি এলাকার এনজিও থেকে ঋণ এনে দিয়েছেন। একটি দুর্ঘটনা তাদের সবাইকে পথে বসিয়ে দিল।
হোসেনের মা নুরজাহান বেগম বিলাপ করতে করতে বলেন, একটু ভালো থাকার আশায় ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছি। আজ আমার সব শেষ।
হোসেনের মৃতদেহ দেশে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মা বাবা ও পরিবারের সদস্যরা। শেষবারের মতো সন্তানকে একনজর দেখতে তারা আকুতি জানান।
পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে জানান, তার লাশ দেশে আনতে পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
তিনি আরও জানান, তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হোসেন অত্যন্ত বিনয়ী ও কর্মঠ ছিল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ভটভটির ধাক্কায় কৃষক নিহত
বরগুনায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ৭ সহকর্মী কারাগারে
৯ মাস আগে
আইএমএফ ফর্মুলায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির পর বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০.২৫ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪ দশমিক ৭০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাজেট সহায়তা ঋণ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
এর অর্থ হলো- অভ্যন্তরীণ মুদ্রাবাজারে ডলারের স্বল্প সরবরাহের মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে প্রায় ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক শনিবার ইউএনবিকে বলেন, শুক্রবার রাতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এই পরিমাণ ঋণ সহায়তা যোগ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের
ফলে শনিবার বাংলাদেশের রিজার্ভ (গ্রস) দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার, যা বৃহস্পতিবার ছিল ২৪ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফ ফর্মুলা বা বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হিসাব করলে রিজার্ভ দাঁড়াবে ২০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে।
এর আগে মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের সভায় বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন করা হয়।
এদিকে, গত জুনের শেষে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারায় আইএমএফের বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে আইএমএফের কাছ থেকে যে ছাড় চেয়েছিল তা অনুমোদন করে।
একই সঙ্গে ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন আইএমএফ বোর্ডের
বাংলাদেশের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
১ বছর আগে
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন আইএমএফ বোর্ডের
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মঙ্গলবার তাদের ডিসেম্বরের বোর্ড সভায় ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদিত হয়েছিল জানুয়ারিতে।
দ্বিতীয় ধাপে বাংলাদেশের অ্যাকাউন্টে ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার স্থানান্তর করা হবে। প্রথম ধাপে প্রায় ৪৫ কোটি ডলার স্থানান্তর করা হয়।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার পাশাপাশি আইএমএফের অর্থ গত দুই বছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর যে উল্লেখযোগ্য চাপ তৈরি হয়েছে তা প্রশমিত করতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ প্রধানদের সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বোর্ড ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। বাকিগুলো আরও ৫ কিস্তিতে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে অক্টোবরে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ২ সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশে এসে ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনা করে এবং আইএমএফ বোর্ডের কাছে দ্বিতীয় কিস্তির প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি সই
১ বছর আগে