রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে তিন মুক্তিযোদ্ধার হাতে ভারতীয় ভিসাসহ পাসপোর্ট হস্তান্তরের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমনকি কয়েক বছর আগেও আমরা বার্ষিক সাড়ে ৬ থেকে ৭ লাখ ভিসা দিতাম। এ বছর আমরা ১৫ লাখ ভিসা দিয়েছি।’
হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি তিন মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ মালিক ও মো. আতিয়ার রহমানের হাতে (ভিসা নম্বর: ১৫ লাখ ও তার অধিক) পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা তুলে দেন।
অধিক সংখ্যক বাংলাদেশির ভারত সফরের ফলে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রীভা গাঙ্গুলি ইতিবাচক জবাব দিয়ে বলেন, ভারত অবশ্যই অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে। কারণ অনেকে সেখানে কেনাকাটা ও ব্যবসার উদ্দেশ্যে যান।
হাইকমিশনার দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বর্ধিত ভিসা আবেদন কেন্দ্রের মাধ্যমে ঝামেলামুক্ত পরিবেশে ভিসা দেয়া নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
‘যেকোনো দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের কূটনীতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। অধিক সংখ্যক মানুষের সফরকে আমরা স্বাগত জানাই,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি জানান, ভিসা প্রক্রিয়াকে আরো উদার করতে বাংলাদেশে ১৫টি ভিসা আবেদন কেন্দ্র খুলেছে ভারত। এসব কেন্দ্র বাংলাদেশের মানুষকে উপকৃত করছে। কারণ এ দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিবছর ভারত যান।
ভারতীয় হাইকমিশন ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ৯ লাখ ৭৬ হাজার ভিসা দেয়। বর্তমানে ভারত সফরে যাওয়া বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যায় বাংলাদেশ থেকে।