বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। তবে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এফএফডব্লিউসি জানিয়েছে, ‘ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি স্থল গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে, যার প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় উপকূলীয় অঞ্চল ও দেশের মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যায় বাড়ি ফিরতে পারেনি ৮৩৫০ পরিবার, ক্ষতি ৫৩৩ কোটি টাকার
চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি কমছে এবং মুহুরী, হালদা ও গোমতী নদীর পানির স্তর অপরিবর্তিত ও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশ ও উজানে ভারী বর্ষণের প্রবণতা কমে আসায় আগামী ৩ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদ-নদীর পানির স্তর নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও কমছে এবং যমুনা নদীর পানি অপরিবর্তিত ও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী পাঁচ দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির স্তর ধীর গতিতে নামতে থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে এফএফডব্লিউসি।
অন্যদিকে গঙ্গা নদীর পানি অপরিবর্তিত থাকলেও বাড়ছে পদ্মার পানি। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির স্তর আগামী দুই দিন অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং আরও তিন দিন পানি বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও বিপৎসীমার নিচেই থাকবে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়েনি তবে আগামী তিন দিন পানি ধীরগতিতে কমতে পারে।
সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে এবং মনু ও খোয়াইয়ের পানির স্তর অপরিবর্তিত ও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
আগামী তিন দিন সিলেট বিভাগের প্রধান নদ-নদীর পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ঝুঁকিতে ২০ লাখ শিশু: ইউনিসেফ