তিনি বলেন, ‘দেশে যখন আইনের শাসনকে পদদলিত করা হয় তখন অপরাধমূলক বিষয়গুলোয় মানুষ প্রশ্রয় পায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধের সাথে জড়িত ছিল, দালাল আইনে যাদের বিচার হচ্ছিল, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দালাল আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ধর্ষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।’
রবিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবালের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ধর্ষকদের বিচার হয়েছে, অপরাধীদের বিচার হয়েছে, খুনিদের বিচার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ধারাবাহিকভাবে তিন মেয়াদের সরকার সকল ধরণের অপরাধীদের ছাড় দেয়নি। ব্যাংকের টাকা আত্মসাত থেকে শুরু করে যারা ধর্ষণের সাথে জড়িত এবং যারা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত আমরা কোনো কিছু লুকাইনি, সবকিছু জনসম্মুখে নিয়ে এসেছি। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে বর্তমান সরকারের জিরো টলারেন্স।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইনমন্ত্রী বলেছেন, এ আইন আরও শক্ত করা হচ্ছে, পরবর্তী কেবিনেট সভায় তিনি সেটি উপস্থাপন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সরকার অত্যন্ত দৃঢ় ভূমিকায় রয়েছে। যেকোনো অপরাধকে আইনের আওতায় এনে বিচারের যখন একটি সংস্কৃতি পুরোপরি গড়ে উঠবে তখন এ ধরণের অপরাধীরা অপরাধ করতে পিছনের দিকে চলে যাবে। তখন এ বিষয়গুলো আরও স্বস্তিদায়ক হবে।’
তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন অফিসে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা যুক্ত আছেন, কাজ করে থাকেন। নৌবাহিনী থেকে বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা নিয়ে থাকি। নৌখাতের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সবসময় সচেষ্ট থাকবে এবং বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে একই ছাতার নিচে সমন্বিতভাবে কাজ করতে চাই।