বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় ‘সীমান্ত এলাকায় বিজিবির ৭৩টি কম্পোজিট/আধুনিক বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ’ শীর্ষক এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়।
তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জনবল বাড়ানো, বিওপিগুলোতে কর্মরত বিজিবি সদস্যদের আবাসন সুবিধা উন্নত করা এবং কাঠামোগত সুরক্ষা জোরদার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী একাধিক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন।
বাহিনীর অব্যাহত উন্নয়নের জন্য সরকারি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও ৭৩টি নতুন আধুনিক বিওপি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছেন, জানান তিনি।
শরিফুল বলেন, ‘প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পুরো বিজিবি পরিবারের পক্ষ থেকে এ বাহিনীর মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এটি বিজিবি এবং দেশের টেকসই উন্নয়নের মাইলফলক হিসেবে সোনার অক্ষরে চিরকাল লেখা থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে ১৩৪টি বিওপি স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
‘এটি বিজিবির অপারেশনাল সক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলতে এবং সৈন্যদের মনোবলের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সহায়তা করবে। এটি দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সামগ্রিক কল্যাণ ও শ্রেষ্ঠত্ব বৃদ্ধির প্রতি অনুকরণীয় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে,’ বলেন বিজিবির এ জনসংযোগ কর্মকর্তা।
বিওপি নির্মাণের ফলে সীমান্তে জনবল বৃদ্ধি, বিওপিতে কর্মরত বিজিবি সদস্যদের বাসস্থান সেবা উন্নতকরণ, ভৌত সুবিধা এবং কাঠামোগত নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব হবে।