ঢাকায় অবস্থানরত নবনিযুক্ত ও বিদায়ী কূটনীতিকদের সম্মানে রবিবার (৩০ জুলাই) নৈশভোজের আয়োজন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন কূটনীতিক ইউএনবিকে বলেন, ‘বিদায়ী ও নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের বিদায় ও স্বাগত জানানোর জন্য এটি আয়োজন করা হয়েছিল।’
তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনা হয়েছে কি-না তা জানা যায়নি।
এদিকে রবিবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান জেরার্ড ভ্যান লিউয়েন বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।
ডাচ-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষয়ীয় সম্পর্ককে মজবুত বলে স্বীকৃতি দিয়ে এটিকে আরও বাড়ানোর জন্য তার অবদানের জন্য পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, আইটি ও আইটিইএস, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব ও বিনিয়োগ উভয় অর্থনীতির জন্য উপকারী হবে।
আরও পড়ুন: হাফেজ আবু তালহার সাফল্য বাংলাদেশের জন্য গৌরবের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র সচিব সার্কুলার অর্থনীতি, আধুনিক টেকসই কৃষি, সবুজ শক্তি এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ডেল্টা পরিকল্পনায় ডাচ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং এই খাতে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ডাচদের সহায়তা কামনা করেন।
তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য ডাচ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য নেদারল্যান্ডসের আরও সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত লিউয়েন বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সরকারের সর্বাত্মক সহায়তা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি উভয় দেশের সমৃদ্ধির জন্য আরও জ্ঞান-থেকে-জ্ঞান (কেটুকে) এবং ব্যবসা-থেকে-ব্যবসায় (বিটুবি) সংযোগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং স্টার্ট-আপ, দক্ষতা উন্নয়ন ও উন্নয়নের জন্য ডাচ সরকারের প্রতিষ্ঠিত 'অরেঞ্জ কর্নারস' তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এবং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান আশা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বৈঠক শেষে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন এবং স্মারক হিসেবে একটি উপহার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী