পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিদেশিদের কাছ থেকে, বিশেষ করে ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের কাছ থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার ‘সমাধান চাওয়ার’ বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিক্যাব টক-এর বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আপনি (মিডিয়া) সেই লক্ষ্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন না।’
মোমেন বলেন, কূটনীতিকরা তাদের দেশ ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এখানে আসেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে।
‘বাংলাদেশ সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দেশ নয়। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বড় অর্জন,’বলে মন্তব্য করেন মোমেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার সহিংসতামুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, এটি করতে সব পক্ষের আন্তরিক প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন অর্জন এবং রপ্তানি বাড়ানোর প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইচ্ছার হার অনেক বেশি কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন ধীর হয়ে যায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, উন্নয়নের জন্য শান্তি অপরিহার্য।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার—এগুলো বাংলাদেশের ডিএনএ-তে রয়েছে।
মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্যাগের কথা স্মরণ করে উল্লেখ করেন যে তার ত্যাগ বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, শান্তি ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ‘আমাদের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে টেকসই করতে হবে। আপনাদেরও (মিডিয়ার) একটা ভূমিকা আছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বৈদেশিক ঋণ গ্রহণে বিচক্ষণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইইউ সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এবং সহিংসতা এড়াতে উৎসাহিত করে: শীর্ষ কূটনীতিক
তিনি আরও বলেন, দেশ সজাগ আছে, সবচেয়ে বেশি ঋণ এসেছে জাপান থেকে এবং বড় ঋণ এসেছে এডিবি, আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক থেকে।
বাংলাদেশ কোনো নির্দিষ্ট দেশের দিকে ঝুঁকতে চায় না বরং সবার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইইউ’র সঙ্গে সংযুক্ত নয়: রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়