বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও সমন্বয় নিশ্চিত করতে নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘টুগেদার ফর এ স্মার্ট অ্যান্ড গ্রিন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সমন্বয়ের অভাবে অনেক অর্জনই ব্যর্থতায় পরিণত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক গ্রিড ব্যর্থতার পটভূমিতে এই আহ্বান জানাল প্রতিমন্ত্রী। ৪ অক্টোবর দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল সাত ঘন্টার ব্ল্যাকআউটে নিমজ্জিত হয়েছিল।
চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শাখা পাওয়ার সেল যৌথভাবে স্মার্ট গ্রিডের উন্নয়ন এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বিষয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাওয়ার গ্রিড স্বয়ংক্রিয়করণ এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।
একটি স্মার্ট গ্রিড স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি এবং স্মার্ট ডিভাইসের প্রবর্তন পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখবে।
তিনি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে প্রচলিত গ্রিড থেকে স্মার্ট গ্রিডে রূপান্তর করতে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষ জনশক্তির বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
তিনি রাজধানীতে ও বাইরে দৈনিক পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের তীব্র বিদ্যুতের সংকটে জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
কর্মশালার পাশাপাশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো পেতে জনগণকে নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
কর্মশালায় স্মার্ট গ্রিড, ইলেকট্রিক যান এবং গ্লোবাল কনটেক্সট বিষয়ক দু’টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। স্মার্ট গ্রিড, সাইবার-আক্রমণ প্রতিরোধ, ডিজিটাইজেশন, অটোমেশনের পাশাপাশি প্রযুক্তি-ভিত্তিক ক্লিন এনার্জি এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন নিয়েও আলোচনা হয়।
সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ির বিষয়টিও কর্মশালায় উঠে আসে। ওয়ার্কশপে বলা হয়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চার্জিং গাইডলাইন সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজির (বাংলাদেশ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং।