তাদের মধ্যে ২০১২-১৩ থেকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ৬৩ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অন্য চারজনের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া জালিয়াতি, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মাদক সেবন এবং ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ২৪ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাময়িক বরখাস্ত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদ সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
ঢাবি প্রক্টর আরও বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা অন্যদেরকে অবৈধ উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া, প্রশ্ন ফাঁস ও ভর্তি জালিয়াতিতে সহায়তা করেছে। ঢাবি শৃঙ্খলা পরিষদ সুপারিশ করেছে, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়ারি করার অভিযোগে আরও নয় শিক্ষার্থীকে বরখাস্ত করা হোক।
ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার জন্য আরও দুই শিক্ষার্থীকে ছয় মাস একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হবে।
এছাড়াও মাদক পাচার ও সেবনে জড়িত থাকার কারণে আরও ১৩ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান প্রক্টর।
এর আগে গত বছরের ৬ আগস্ট ঢাবি কর্তৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে।
পরে এসব শিক্ষার্থীকে সাতদিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
পরে ৬৩ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।