তিনি বলেন, ‘যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও মোকাবিলার জন্য বিমানবন্দরে কর্মরত সবাইকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করার চেষ্টাকারীদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।’
মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘ফুল স্কেল এয়ারপোর্ট ইমার্জেন্সি এক্সারসাইজ-২০২০’ ও আন্তর্জাতিক লাউঞ্জের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানে দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে বড় ধরনের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।’
তিনি জানান, সিলেটবাসীর সুবিধার কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরও সম্প্রসারণের কাজে হাত দেয়া হয়েছে। মোট ২,৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ কাজ সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৪৫১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রানওয়ে শক্তিশালীকরণ ও এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপন কাজ সমাপ্তির পথে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ প্রধানমন্ত্রী গত ১ অক্টোবর উদ্বোধন করেছেন। এ পর্যায়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ২,৩০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে নতুন আধুনিক টার্মিনাল ভবন, কার্গো ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ার, প্রশাসনিক ভবন, মেইন্টেনেন্স ভবন, এপ্রোন, ট্যাক্সিওয়ে ও ইউটিলিটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এ কাজ সমাপ্তির পর ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে একটি সর্বাঙ্গীণ আধুনিক বিমানবন্দর, জানান প্রতিমন্ত্রী।
মাহবুব আলী বলেন, যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে দেশের সব বিমানবন্দরের সাথে সাথে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও কার্যক্রম পূর্বের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর মো. খালিদ হোসেন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদ।