বিপিসি কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, চলতি বছর এপ্রিলে প্রতি বেরেল অপরিশোধিত তেল ৪৩ দশমিক ১৭ ডলার দিয়ে আমদানি করা হলেও আগস্টে সেই তেল আমদানি করা হয় ৮১ দশমিক ৫১ ডলারে।
একইভাবে এপ্রিলে ডিজেল (পরিশোধিত তেল) প্রতি বেরেল ৫০ ডলার দিয়ে আমদানি করা হলেও বর্তমানে লাগছে ৯১.৭০ ডলার।
বিপিসি’র বিপণন বিভাগের ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববাজারে এই মুল্যবৃদ্ধির ফলে সরকারকে প্রতি লিটার ডিজেলে ৮ দশমিক ৯ টাকা এবং জ্বালানি তেলে (ফারনেস ওয়েল) ১২ দশমিক ৩৩ টাকা লোকসান গুণতে হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের ওপর বোঝার সৃষ্টি হবে। সরকারকে তেলে বেশি বরাদ্দ দিতে হবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন সেক্টরে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বিপুল পরিমাণ পেট্রোলিয়াম জ্বালানি আমদানি করতে হয়।
জানা যায়, বর্তমানে দেশের ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২৫ শতাংশ পেট্রোলিয়াম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চলতে থাকলে বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়াম উভয় ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলবে। এলএনজি মূল্যের উপরও কিছু প্রভাব পড়তে পারে কারণ এর দাম পেট্রোলিয়াম মূল্যের সাথে যুক্ত।
দেশে বছরে ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন পেট্রোলিয়াম জ্বালানি আমদানি করা হয় এবং সম্প্রতি এলএসজি আমদানিও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিপিসি কর্মকর্তা জানান, তারা অন্যান্য পেট্রোলিয়াম জ্বালানি যেমন অকটেন, পেট্রোল, কেরোসিন এবং জেট বিক্রিতে কোনো লোকাসানের মুখে পড়েনি। কারণ জেট জ্বালানি ছাড়া অন্যগুলো দেশে স্থানীয়ভাবেই তৈরি হচ্ছে।
ডিজেল ও ফার্নেস তেল বিক্রিতে বিপিসি ২০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা বজায় থাকলে, এ ক্ষতি বাড়তেই থাকবে।
বিশ্ব জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, প্রতি বেরেলে পেট্রোলিয়ামের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।