করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ট্রায়াল হিসেবে চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে এবং পরবর্তীতে বয়স্কদের দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো.মঈনুল আহসান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে খুব বড় করে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হবে না। যেকোন টিকার ক্ষেত্রেই আমরা শুরুতে সতর্কতামূলকভাবে কিছু জনগোষ্ঠীকে দিয়ে শুরু করি। এরপর কিছুদিন পর্যবেক্ষণের পর বড় আকারে শুরু করি। বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে কোভিড বুস্টার ডোজ
মঈনুল আহসান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যারা সক্ষম, তাদের দিয়ে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করবো। পরবর্তী পর্যায়ে আমরা অবশ্যই বয়স্কদের আনবো। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে কোমরবিড কন্ডিশন আমরা বিবেচনায় রাখব।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামীকাল থেকে দেশে করোনার বুস্টার ডোজ শুরু হবে। উনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এটি নিয়ে কাজ করছিলাম।
আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্ব ও সম্মুখ যোদ্ধাদের করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার সুপারিশ
প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে বুষ্টার ডোজ দেয়ার জন্য প্রস্তুতি আছে। প্রাথমিক ভাবে খুব সীমিত আকারে এটা শুরু করা হবে। তবে, সীমিত পর্যায়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে ব্যাপক আকারে শুরু হয়ে যাবে। আমরা আশা করি টিকার যে সরবরাহ রয়েছে, এতে কোনো ঘাটতি হবে না।
ঢাকা সিভিল সার্জন বলেন, বুস্টার ডোজের ঘোষণা তিনটা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। একটি হলো সক্ষমতা এবং আমাদের টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ। আমরা প্রথমে একটি ডোজ দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম, এরপর আমরা সরবরাহ বাড়িয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে কাজ করেছি। এখন আমাদের সরবরাহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে বলে তাই সরকার বুস্টার ডোজ দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা বয়স্ক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখসারীর যোদ্ধা আছেন, তাদেরকে মন্ত্রীর নির্দেশনা মতো কাল থেকে দেয়া শুরু করব।