মঙ্গলবার আসামিকে ঢাকার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানার আদালতে হাজির করেন মামালার তদন্ত কর্মকর্তা।
এ সময় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম।
অপরদিকে, আসামির আইনজীবী মো.আনোয়ার হোসেন আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে সূত্রাপুর থানার লালকুটির ঘাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নৌপুলিশ।
গত ২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সাথে সাথে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ওই ঘটনায় ৩৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
‘এমএল মনিং বার্ডকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়ার সময় ‘ময়ূর-২’ এর মূল মাস্টার নয় এমন একজন শিক্ষানবিশ চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। লঞ্চের কোনো ত্রুটি নয়, মাস্টারের ভুলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পরদিন লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
অজ্ঞাতানামা আরও ৫-৭ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলায় বেপরোয়া লঞ্চ চালিয়ে মানুষ হত্যা ও ধাক্কা দিয়ে লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৪৩৭ ও ৩৪ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোফাজ্জল হামিদ ছোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, মাস্টার শাকিল ও সুকানি নাসির।