কর্মচারী
সচিবালয়ের কর্মচারীদের ৪ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ স্থগিত
৯ দফা দাবিতে আগামী ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ের কর্মচারীদের ডাকা মহাসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ভূমি সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবির।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধা প্রদান, নতুন পে-কমিশন গঠনের আগে পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু, রেশনিং প্রথা চালু, অবসরের বয়স বাড়ানো, পদনাম পরিবর্তন ও পদোন্নতিসহ ৯ দফা দাবিতে আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
সাংবাদিকদের বাদিউল কবির বলেন, জনপ্রশাসন সচিব, ভূমি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে আমাদের দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে নিয়েছেন। দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। তাই আমরা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেছি।
আরও পড়ুন: পদোন্নতির দাবিতে একট্টা হচ্ছেন সচিবালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী কর্মকর্তারা
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, সচিবালয়ে ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক কর্মচারি আছেন দুই হাজারের ওপরে। দীর্ঘদিন তারা বেতন ও পদোন্নতি-বঞ্চিত ছিলেন। তাদের ৯ দফা যে দাবি, সেগুলোর কোনোটিই অযৌক্তিক নয়। এসব দাবি পূরণ করা সম্ভব, তবে সময়সাপেক্ষ। কিছু দাবি তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করা গেলেও কয়েকটি রয়েছে যা দীর্ঘমেয়াদী।
ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, সচিবালয়ের কর্মচারীদের দাবি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ধাপে ধাপে তাদের এসব দাবি পূরণ করা হবে।
এ বিষয়ে আইনি কিছু জটিলতা রয়েছে, যা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে বলে জানান তিনি।
৯ দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা (পিও)। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ নভেম্বর সচিবালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে দাবি পূরণ না হলে ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দেন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি।
আরও পড়ুন: হামলার গুজবে সচিবালয় ছাড়লেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
৩ সপ্তাহ আগে
চানাচুর কোম্পানির ভেতরে কর্মচারীকে গলা কেটে হত্যা
যশোরে রানী চানাচুর কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে এক কর্মচারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে শহরের বকচর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
মিলন মণিরামপুরের ঝালঝাড়া খালকান্দা গ্রামের আসমত আলীর ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির ভেতরে গরুর খামারে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামীসহ আটক ৭
সোমবার সকালে কোম্পানির কর্মচারীরা মিলনের সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের ভেতরে যায়। সেখানে মিলনের গলা কাটা লাশ দেখতে পায় তারা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
মিলনের সহকর্মী তরিকুল ইসলাম বলেন, ওইদিন রাত ১১টা পর্যন্ত মিলন এক নাইটগার্ডের সঙ্গে ওয়াজ মাহফিল শুনেছেন। পরে ঘুমাতে যান। সকালে এসে দেখি তিনি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
নিহতের বাবা আসমত বলেন, মিলন সেখানে একাই থাকত। মিলনের স্ত্রী ও দুই ছেলে মণিরামপুরের বাড়িতে থকে। ছেলেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ছেলের হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।
রানি চানাচুর কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানান, মিলন গত তিন বছর ধরে তাদের গরুর খামার দেখাশুনা করেন। মিলন নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, মিলন হত্যার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ওসি শহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) বাবুল আক্তার, পিবিআই কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সাভারে পূর্ব শত্রুতার জেরে শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা
২ মাস আগে
সব কর্মচারীকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে: জনপ্রশাসন সচিব
সব কর্মচারীকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে। তবে আগামী বছর থেকে প্রতি বছরের সম্পদের হিসাব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দিতে হবে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি কর্মচারীদের সম্পত্তির হিসাব জমাদান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীকে 'সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি, ১৯৭৯' এর আলোকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। প্রতি বছরের সম্পদের হিসাব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। এবার যেহেতু আমরা নতুন বছর পাইনি, ভাঙা বছর পেয়েছি, এজন্য এ বছরেরটা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন সচিব হলেন মোখলেসুর রহমান
সিনিয়র সচিব বলেন, 'সম্পদের হিসাব সিলগালা করা খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। সম্পদ বিবরণীতে ভুল তথ্য কিংবা গোপন এমন কোনো তথ্য থাকে যা মিসলিড করে, এটি হবে ১৯৭৯ সালের বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।'
'এই অনুশাসন মালা সব কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সরকারিভাবে কর্মচারী বলা হয়।'
মোখলেস উর রহমান জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রণীত নির্ধারিত ছকে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
সিনিয়র সচিব বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদর্শ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া সম্পদ বিবরণীর তথ্য সম্পূর্ণ অংশ বিশেষ হস্তান্তরযোগ্য নয়। সম্পদ বিবরণী অতি গোপনীয় দলিল বিধায় এক্ষেত্রে 'তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯' প্রযোজ্য হবে না।
তিনি বলেন, 'সম্পদ বিবরণী জমা না দিলে কী হবে- অনেকে জানতে চেয়েছিলেন? জমা না দিলে অনেক কিছু হয়।'
'নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসংগতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
'সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮' এর ৪(৫)(গ) উপবিধি অনুযায়ী 'অসদাচরণ' এর জন্য লঘুদণ্ড ও গুরুদণ্ড আরোপের বিধান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিরস্কার পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা, দায়িত্বে অবহেলার কারণে সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ অংশ বা অংশবিশেষ আদায়, বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিত করা হচ্ছে লঘুদণ্ড।
অন্যদিকে গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে- নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিত করা, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান, চাকরি থেকে অপসারণ ও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা বলেও জানিয়েছেন মোখলেস উর রহমান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কোটা নিয়ে প্রয়োজনে আইন পাস করা হবে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
৩ মাস আগে
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব চেয়েছেন হাইকোর্ট
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল ও প্রকাশ সংক্রান্ত বিধিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবির নন্দী দাস। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুদকের আইনজীবী ফজলুল হক।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি ইয়াজদানির বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে বাতিল
রুলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা- ১৯৭৯ এর ১৩ বিধি অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল ও প্রকাশ করতে কেন নির্দশ দেওয়া হবে না এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে একটি গাইডলাইন তৈরির কেন নিদের্দশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী সুবির নন্দী দাস আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ আদেশের আগে শুনানিকালে হাইকোর্ট বলেন, দুর্নীতি উন্নয়ন ও সুশাসনের অন্তরায়; তাই যেকোনো মূল্যে এটি থামাতে হবে। শুধু সরকার নয়, জনগণকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।
প্রতি বছর সরকারি চাকরিজীবীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আরও বলেন, দুর্নীতি বন্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে হারে দুর্নীতির খবর দেখা যাচ্ছে, তা বিস্ময়কর।
আদালত বলেন, সোনার মানুষ তৈরি করলে সোনার দেশ গড়া যাবে। সরকার একাই এটি রোধ করতে পারবে তা নয়, সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু বড় বড় কথা বললে হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে।
এর আগে, সোমবার দুর্নীতিরোধে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব আইন অনুযায়ী দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।
এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব আইনে উল্লেখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছি।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে না পারায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চান হাইকোর্ট
সানভীস বাই তনি শোরুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
৫ মাস আগে
ময়মনসিংহের ৭০ জন হোটেল মালিক ও কর্মচারীকে নিয়ে কর্মশালা আয়োজন ইউএসএইড’র
ময়মনসিংহের প্রায় ৭০ জন হোটেল মালিক ও কর্মচারীকে নিয়ে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত, রান্না এবং পরিবেশন বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড)।
শনিবার (২৫ মে) দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে ওই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন: বাকৃবি অধ্যাপক
হোটেল মালিক ও কর্মচারীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেনতা তৈরির লক্ষ্যে ইউএসএইডের ফিড দ্যা ফিউচার এর ‘বাংলাদেশে মাছ ও মুরগির খাদ্য ভ্যালুর নিরাপত্তা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় ‘নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত, রান্না এবং পরিবেশন’ বিষয়ক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অবস্থিত ফুসকা, ফাস্টফুড ও খাবার হোটেল মালিক, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়, চূড়খাই, সুতিয়াখালী এবং মুক্তাগাছা থেকে প্রায় ৭০ জন উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পটির বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান বলেন, যে খাবার আপনি নিজের পরিবারকে খাওয়াতে চান না সেই খাবারটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বা কাউকে খাওয়াবেন না। খাবার তৈরি ও পরিবেশনকারীদের অবশ্যই গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: সুস্থ-সবল জাতি গঠনে ওয়ান হেলথ গুরুত্বপূর্ণ: বাকৃবি উপাচার্য
৬ মাস আগে
ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কর্মরত সব কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (৭ মে) ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে দয়াগঞ্জ ও ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেয়র এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঈদের পরে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান: ডিএসসিসি মেয়র
সিটি করপোরেশনের বাসা বরাদ্দ দেওয়া দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল মন্তব্য করে মেয়র তাপস বলেন, আগে বাসা বরাদ্দ নিয়ে ডিএসসিসির আপবাদ ছিল। এটা দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল। আমরা অনিয়ম-দুর্নীতির সেসব চক্র ভেঙে দিয়েছি। ফলে বাসা বরাদ্দ প্রদানে এখন আর কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করার সাহস দেখায় না। যারা যোগ্য, যাদের প্রাপ্যতার ন্যায্যতা রয়েছে আমরা এখন তাদেরকেই বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি।
মেয়র আরও বলেন, করপোরেশনের কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশের আবাসন নিশ্চিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কর্মচারীর জন্য আবাসন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মেয়র বলেন, আমাদের আবাসনগুলোর মধ্যে একটা বড় অংশই একসময় অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব দখলদারদের আমরা উচ্ছেদ করে চলেছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা চলবে, ইনশাআল্লাহ। যতদিন আমি আছি, ততদিন এই করপোরেশনের আবাসনগুলোতে কোনো অবৈধ দখলদার থাকতে দেব না।
আরও পড়ুন: নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
মুগদায় দ্বিতীয় দিনের মতো ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান
৭ মাস আগে
সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা, গ্রেপ্তার ১
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে সুন্দরবনের বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শরণখোলা এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার জসিম বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের নিয়ামুলের ছেলে এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদের সমর্থক।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা
জানা যায়, শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিকালে শরণখোলা বাজারে সুন্দরবন বিভাগের স্টাফদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় বন বিভাগের ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় ৩ জন আহত হন।
আহত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেস্টার মতিউর রহমান এবং স্প্রীডবোর্ড চালক সিরাজুল ইসলাম। এদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় বন বিভাগের বগী স্টেশন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে শুক্রবার শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া সাইফুল ইসলাম রুবেল, মাকসুদুর রহমান রনি ও আমির হাসান চয়নের নাম উল্লেখ করা হয়। এরা সবাই আসাদের সমর্থক। এদের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শরণখোলা বাজারে পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আসাদের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন যুবক তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ঠেকাতে এসে আরও তিনজন গ্রামবাসী আহত হয়। বন বিভাগের পক্ষ্য থেকে একরাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় অটোরিকশাচালক নিহত, আহত ভাই-ভাতিজা
তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরতে না দেওয়ায় আসাদ তার লোকজন নিয়ে বন বিভাগের স্টাফদের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলার পর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি (বর্তমানে কমিটি স্থগীত) আসাদ জানান, দুই বছর ধরে সে সুন্দরবনে মাছ ধরার ব্যবসা করে। বন বিভাগ থেকে সরকারি অনুমতি (পাশ) নিয়ে তার জেলেরা সুন্দরবনে মাছ আহরণ করে। সুন্দরবনের ধানসি এবং দুধরাজ এলাকায় তার জেলেরা মাছ ধরছিল। এসময় অন্য জেলেরা তাদেরকে সেখান থেকে তুলে দিয়েছে। বিষয়টি বন বিভাগের স্টাফদের কাছে জানতে চেয়ে ছিল। এনিয়ে বন বিভাগের স্টাফদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। তার দাবি, অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও বন বিভাগকে ম্যানেজ করে তার জেলেরা অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলা এবং সরকারি কাজে ব্যাধা দেওয়ার অভিযোগে থানা মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এজাহার নামীয় আসামি জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে তাকে বাগেরহাট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর আসামিদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাতের হামলায় ২ পুলিশ আহত, গাড়িচাপায় ডাকাতের পা বিচ্ছিন্ন
৮ মাস আগে
স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মচারীদের জন্য 'প্রত্যয়' পেনশন প্রকল্প চালু : অর্থ মন্ত্রণালয়
স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন, সংবিধিবদ্ধ এবং তাদের অধীনস্থ সংস্থায় নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম (ইউপিএস) -এর অধীনে ‘প্রত্যয়’ নামে একটি নতুন স্কিম চালু করেছে সরকার।
বুধবার(২০ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এই প্রকল্প কার্যকর হবে।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ জারি করা এসআরও (নং-৪৭-আইন/২০২৪) অনুযায়ী সকল স্বা-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ সংস্থার কর্মকর্তা বা কর্মচারী যারা চলতি বছরের ১ জুলাই এবং পরে যোগদান করেছেন তারা নতুন স্কিমের আওতায় আসার যোগ্য হবেন।
এছাড়া এসআরও'র মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য সার্টিফিকেশন স্কিমের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ করুন: এ কে আজাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'প্রত্যয়' স্কিম প্রবর্তনের ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং তাদের বিদ্যমান পেনশন/গ্র্যাচুইটি সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকবে।’
তবে যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি বাকি আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে নতুন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এই বছরের ১ জুলাই এবং তার পরে নতুন যোগদানকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ভবিষ্যতের আর্থিক সুরক্ষা ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। কারণ তারা অবসরকালীন মাসিক পেনশন পাওয়ার অধিকারী হবেন।’
এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেশিরভাগ কর্মচারী গ্র্যাচুইটি এবং কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ) এর আওতাভুক্ত। সেই ব্যবস্থায়, কর্মচারীরা চাকরি শেষে অবসর সুবিধা হিসাবে সামান্য পরিমাণ অঙ্কের অধিকারী, তবে কোনও মাসিক পেনশন নেই।
ফলে অবসর পরবর্তী জীবনে তারা প্রায়ই আর্থিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হন। অবসর পরবর্তী জীবনে কর্মীদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে সরকার 'প্রত্যয়' প্রকল্প চালু করেছে।
'প্রত্যয়' স্কিম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা, যেটি কম, কর্তন করা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউট কর্তৃক স্কীমে অংশগ্রহণের জন্য প্রদান করা হবে।
এরপর উভয় অর্থ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর নামে অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
যেমন, সংশ্লিষ্ট ইন্সিটিটিউট বা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত টাকা জমা দিলে ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের পর প্রতি মাসে ৬২ হাজার ৩৩০ টাকা পেনশন পাবেন।
এক্ষেত্রে ৩০ বছর মেয়াদে কর্মচারীর নিজস্ব বেতন থেকে পরিশোধিত মোট জমার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা (প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা জমা) এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিশোধিত চাঁদার মোট পরিমাণ ৯ লাখ টাকা।
প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য মোট চাঁদার পরিমাণ হবে ১৮ লাখ টাকা। উপকারভোগী ৭৫ বছর বয়সে মারা গেলে ওই ব্যক্তি ১৫ বছরে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা বা তার বেশি পেনশন পাবেন, যা কর্মচারীর নিজস্ব আমানতের ১২ দশমিক ৪৭ গুণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
৯ মাস আগে
অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
কর্মঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক চিকিৎসক, নার্স-কর্মচারী উপস্থিত থাকে না বলে নানা সময় অভিযোগ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে দায়িত্ব পাওয়া নতুন প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।
তিনি বলেন, দায়িত্বে থাকার পরও কেউ যদি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বক্তব্য শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, সরকারি হাসপাতালে কতটি বেড ভর্তি বা কতটি খালি আছে তা জানা থাকে। কিন্তু জরুরি বিভাগে কতজন রোগী আসবে তা ঠিক থাকে না। আর আমাদের হাসপাতালগুলোতে কোনো রোগী এলে তাদের ফিরিয়েও দেওয়া হয় না।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ঢাকার সরকারি হাসপাতালসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায় সব জায়গায় হাসপাতালগুলোতে যত বেড আছে, রোগী তার থেকে অনেক বেশি থাকে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ সময় রোগীদের মেঝেতে থাকতে হয়। তাদেরও চিকিৎসক-নার্সরা সেবা দেন। কিন্তু এসব অতিরিক্ত রোগীর সেবার জন্য ডাক্তার, নার্সসহ কর্মচারী কেউই অতিরিক্ত বেতন-ভাতা পায় না।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক-নার্সরা সবসময় তাদের দায়িত্ববোধ থেকেই সব রোগীকে সেবা দিয়ে থাকে। আমরা যদি তাদের মূল্যায়ন করি, তাহলে যারা নিয়মিত কাজ করে না, তারা সবাই অন্যদের দেখে আগ্রহ পাবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এখনও অফিস শুরু করতে পারিনি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বানে আজকের ডিসি সম্মেলনে যোগ দিয়েছি।
তার দায়িত্বপালনে অগ্রাধিকার কী থাকবে জানতে চাইলে ডা. রোকেয়া বলেন, আমি গুণগত এবং মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করব। চ্যালেঞ্জ থাকবে, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতের দিকে সবাইকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও চিকিৎসক হিসেবে ৩৩ বছর চাকরি করেছি। আমি জানি, আমাদের চেষ্টা থাকে কতটা। তবে, এখন সময় এসেছে আমাদের অন্যান্য সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলো একযোগে সমাধান করা।
তিনি বলেন, আমরা সবাই একটি ফুটবল বা ক্রিকেট টিমের মতো এক হয়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করলে স্বাস্থ্যখাতে খুব বেশি সমস্যা আর থাকবে না।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা ত্যাগ কাদেরের
রাজউক ও গণপূর্তকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
রাজবাড়ীতে ২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর ৫ মাস ধরে বেতন বন্ধ!
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানের ২৫জন শিক্ষক-কর্মচারী জুলাই মাস থেকে বেতন বঞ্চিত রয়েছেন। বেতন ছাড় করতে প্রধান শিক্ষক এক মাসের টাকা দাবি করেন।
প্রতিকার চেয়ে ইউএনও, জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের।
আরও পড়ুন: ২ মাস বেতন-ভাতা বন্ধ ১৭০ জন চিকিৎসক-নার্স-কর্মচারীর
জানা গেছে, এমপিওভুক্ত গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষকের বড় ভাই রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আ. লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ৬ জুলাই পদত্যাগ করেন।
শিক্ষকরা ইউএনও’র মাধ্যমে জানতে পারেন সভাপতির পদত্যাগপত্র শিক্ষাবোর্ডে গৃহীত হয়নি, পূর্বের কমিটি বহাল রয়েছে।
এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফকীর আব্দুল কাদেরের কাছে বেতন-ভাতার বিলে সইয়ের অনুরোধ করলে তিনি সভা ডেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে এক মাসের বেতন (প্রায় ৬ লক্ষ) দাবি করেন এবং এরপর তিনি বেতন বিলে স্বাক্ষর করবেন বলে প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাবে শিক্ষকরা অস্বীকৃতি জানালে প্রধান শিক্ষক বেতন-ভাতার বিলে সই করেনি। ফলে বিদ্যালয়ের সাধারণ ও ভোকেশনাল শাখার ২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী জুলাই থেকে চলতি নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৫ মাসের সরকারি অংশের বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতরভাবে দিন কাটাচ্ছেন।
এদিকে, গত ১৬ নভেম্বর বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষককে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি বেতন-বিলে সই করেননি।
এসময় শিক্ষক-কর্মচারিরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, জাত-পাত তুলে গালমন্দ, গায়ে হাত তোলা, নিয়োগ বাণিজ্য, বিদ্যালয়ের আয়ের সমুদয় অর্থ নয়ছয় করাসহ নানা অভিযোগ তোলেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার সাহা বলেন, তিনি বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত। অর্থাভাবে চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারছেননা, সংসারের চাহিদাও মেটাতে পারছেননা। বাজারের দোকানীরা বাকি দিতে চাচ্ছেননা।
তিনি আরও বলেন, মনোকষ্টে যেকোনো সময় স্ট্রোক করে মারা যেতে পারেন। প্রধান শিক্ষক যেনতেন কারণে তাদের জাত-পাত তুলে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে গায়ে হাত তোলেন। তার দুর্ব্যবহারের কারণে কিছুদিন আগে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। নিঃসন্তান বলে অসহায় স্ত্রীর কথা ভেবে আত্মহত্যা করিনি।
দীপালী রায় নামের আরেক শিক্ষক জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনই এই স্কুলে কর্মরত। তাদের বড় ছেলেটা রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) পড়ালেখা করছে। বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের পাশাপাশি ছেলেটাও নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। যে কারণে নিরুপায় হয়ে ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নে প্রস্তুত বিজিএমইএ: ফারুক হাসান
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে জুলাই থেকে চলতি নভেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতরভাবে দিন পার করছেন। ম্যানিজিং কমিটির সভাপতির পদত্যাগপত্র বোর্ডে যায়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনও আমাকে ও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। প্রধান শিক্ষক ঢাকায় থাকায় তদন্তে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি আসলে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফকীর আব্দুল কাদের বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদত্যাগপত্র বোর্ডে জমা পড়ায় জটিলতা দেখা দেয়। ফকীর আব্দুল জব্বার সভাপতি বহাল থাকার কাগজপত্র বোর্ড থেকে হাতে পেলেই বেতনবিলে সই করব। শিক্ষকদের কাছে এক মাসের বেতনের টাকা চাওয়ার অভিযোগ সত্য না।
ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষকদের বেতন না পাওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেই শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিশ্চিত করেন, আইডিয়াল হাইস্কুলের সভাপতির পদত্যাগপত্রটি গৃহীত হয়নি।
তিনি বলেন, তিনি স্বপদে বহাল আছেন এবং বেতন বিলে সই করতে পারবেন। বিষয়টি সভাপতিকে জানানোর পর তিনি বেতন বিলে সই করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের অসহযোগিতার কারণে সমাধান হয়নি। শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় আছে। এলাকায় ফিরলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সাভারে পুলিশ-পোশাকশ্রমিক সংঘর্ষে আহত ১৫
১ বছর আগে